সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম ল বোর্ডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রধান জামাল সিদ্দিকির। তাঁর দাবি, নাম পরিবর্তন করা হোক 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড'-এর। অন্যথায় এই সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখবেন তিনি। 'মুসলিম ল বোর্ড' এই নামে সিদ্দিকির মূল আপত্তি 'বোর্ড' শব্দে।
'অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড'-এর নাম পরিবর্তনের জন্য এই সংস্থার প্রধানকে চিঠি লিখেছেন জামাল। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, এই সংস্থা কোনও সরকারি সংস্থা নয়। সম্পূর্ণরূপে একটি বেসরকারি সংস্থা। ফলে এর নামের অর্থও সেভাবে প্রতিফলিত হওয়া উচিৎ। কিন্তু বাস্তবে সংস্থার নাম দেখে মনে হয় সংস্থাটি গোটা দেশের মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। তবে বাস্তবে এখানে পাসমান্দা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কার্যত নেই। এবং যেহেতু এটি বেসরকারি সংস্থা ফলে নামের শেষে বোর্ড শব্দ মুছে ফেলা হোক। যাতে দেশের মুসলিমরা বিভ্রান্ত না হন।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, গোটা দেশের ৮০ শতাংশ মুসলিম পাসমান্দা সম্প্রদায়ের। অথচ এই সংস্থায় তাদের প্রতিনিধি নেই বললেই চলে। ফলে এই সংস্থার কোনও অধিকার নেই নিজেদের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলে দাবি করার। শুধু তাই নয়, শাহ বানো মামলা এবং ওয়াকফ সংশোধনী বিল-সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুসলিম ল বোর্ডের অবস্থানেরও সমালোচনা করেছেন সিদ্দিকি। তিনি দাবি করেন, এরা সর্বদা সরকারী কার্যকলাপের বিরোধিতা করে। যার জেরে মুসলমানদের উপকার হবে এমন সব কাজ এদের জন্য বাধাপ্রাপ্ত হয়। একের পর এক অভিযোগ তুলে সিদ্দিকি কড়া সুরে জানিয়েছেন, যদি সংস্থা নিজেদের নাম থেকে বোর্ড শব্দ না সরায় সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানাবেন তিনি।
মুসলিম পার্সোনাল ল-কে সুরক্ষিত করতে ১৯৭৩ সালে গঠন করা হয়েছিল 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড'। এই সংস্থাটির কাজ মুসলিম আইন রক্ষা করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে যোগাযোগ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুসলিম জনতাকে দিশা দেখানো। বোর্ডের এখানে ৫১ জন উলেমাদের একটি ওয়ার্কিং কমিটি রয়েছে যারা বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কাছে তাদের মতামত পেশ করে। তার নিচে রয়েছে ২৫ জন মহিলা-সহ ২০১ জন প্রতিনিধি।