শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: প্রয়াত হলেন জলপাইগুড়ির জেলার ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বিষ্ণুপদ রায়। ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে দিন দুই আগে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ মৃত্যু হয় বিধায়কের। খবর পৌঁছেছে ধূপগুড়ির (Dhupguri) বাড়িতে। শোকে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কলকাতা থেকে বিধায়কের মৃতদেহ দ্রুত ধূপগুড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। গত রবিবার কলকাতায় এসে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভরতি হন। অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। এরপর সোমবার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা সাময়িক। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে বিধায়কের। সকালের দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দলের বিধায়কের মৃত্যুর খবরে শোকাহত বঙ্গ বিজেপি। ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কাজের লোভ দেখিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে পাচারের ছক, শিলিগুড়িতে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি মহিলা]
আরএসএস (RSS) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। যুব বয়সে সেনায় যোগ দিলেও পরে নিজের জেলায় ফিরে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে হাত লাগান। কৃষিজীবী হিসেবেই দিনযাপন করতেন। পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। চাষের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের কর্মীও ছিলেন বিষ্ণুপদবাবু। তৃণমূলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি ধূপগুড়িকে দখলমুক্ত করতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির অনুমতি সাপেক্ষে তাঁকে ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়। দলের ভরসা অটুট রেখে ধূপগুড়ি আসনটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেন আরএসএস কর্মী বিষ্ণুপদ রায়। সেখানে বিজেপি সংগঠন বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। মাঝেমধ্যে অবশ্য বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তবে ষাটোর্ধ্ব বিধায়ক ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার মৃত্যু হল। দেহ আজকের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে পৌঁছবে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।