সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে মনোমালিন্যের জের। ফের প্রকট বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। অশোক দিন্দার পর এবার তমলুক সাংগঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অশোক দিন্দাকে সমর্থন জানিয়ে বিরোধী দলনেতা গ্রুপ ছেড়েছেন বলে খবর। যদিও শুভেন্দু অনুগামীদের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধুমাত্র কোনও জেলার নেতা নন। তাঁকে না জানিয়েই বিভিন্ন জেলার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছে। তাই জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি।
রবিবারই তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির তরফে ৪২ জন মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। আর তা নিয়ে শুরু বিবাদ। বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে জেলা বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠরাই মণ্ডল সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি হওয়ার পরই দলের অভ্যন্তরে চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল। সূত্রের খবর, রবিবার তাঁর অধিকাংশ অনুগামী মণ্ডল সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সংঘাত আরও প্রকট হল।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে’, অনুব্রতর নিরাপত্তা নিয়ে এবার বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ]
মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণার পরই রবিবার ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা তমলুক সাংগঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। তাঁকে সমর্থন করে শুভেন্দু অধিকারীও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বলেই খবর। নন্দীগ্রামের শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা সাহেব দাসও গ্রুপ লেফট করেন। একের পর এক নেতার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে কি এবার সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে? উঠছে প্রশ্ন।
যদিও শুভেন্দু অনুগামীরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁকে কোনও এলাকার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করার আগে জিজ্ঞাসার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। সে কারণেই তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা সাহেব দাসের দাবি, “ইচ্ছাকৃত নয়। মোবাইলটি বদল করেছেন। সে কারণেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট হয়ে গিয়েছে।”