সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day) বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকেছে দেশ। লালকেল্লায় ‘অন্নদাতা’দের তাণ্ডব ও কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে হওয়া হিংসা নিয়ে সরব অনেকেই। প্রশ্নের মুখে কৃষক নেতাদের (Farmer leader) ভূমিকা। যে নেতারা এই হিংসার সঙ্গে জড়িত তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার আরজি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জর। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি দিল্লি সীমান্তে অবস্থানকারীদের মধ্যে যাঁরা হিংসার সঙ্গে জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করে পুলিশকে ‘শ্যুট অ্যাট সাইটে’র নির্দেশ দেওয়া হোক।
লালকেল্লার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো নয়ই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যই এখনও মুখ খোলেননি, একমাত্র প্রকাশ জাভড়েকর ছাড়া। তবে বিজেপির বহু নেতাই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁদেরই অন্যতম গুর্জর। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার করে কৃষক নেতাদের ফাঁসির আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ মামলায় বম্বে হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের]
কৃষক আন্দোলনের শুরু থেকেই বিজেপি দাবি করে এসেছে, এই আন্দোলন কৃষি আইনের প্রতিবাদে নয়। এমনকী, কৃষকরাও এর প্রধান চালিকা শক্তি নন। ‘বহিরাগত শক্তি’ এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। খলিস্তানি সংগঠনগুলি এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহে উসকানি দিচ্ছে। সেই দাবিই নতুন করে জোরাল হয়ে উঠেছে সাধারণতন্ত্র দিবসের হিংসার পরে। বিজেপির আইটি শাখার প্রধান অমিত মালব্যের দাবি, ওইদিনের ঘটনা নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছাড়া কিছু নয়।
ওই হিংসার সঙ্গে কৃষক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়ে মুখ খুলেছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তবও। তাঁর দাবি, ”কৃষক নেতারা ট্র্যাক্টর মিছিলে হওয়া হিংসার সঙ্গে জড়িত। কৃষক সংগঠনগুলি মিছিলের নিয়ম মেনে চলেনি। দুপুর বারোটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ওই মিছিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাও মানা হয়নি।” তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৫০ জনকে।