শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর (Debasree Chaudhuri) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দলেরই বেসুরো বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর অভিযোগ, “দেবশ্রী চৌধুরী আমাকে রায়গঞ্জ থেকে হারাতে চেয়েছিল। হারাতে পারেনি। তাই এখন দল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
গত রবিবারই এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির সঙ্গে একপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তারপর থেকেই তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা চলত। এরই মধ্যে তিনি দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন। দিল্লি থেকে ফিরেই দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। দাবি করলেন, “দেবশ্রী আমাকে হারাতে চেয়েছিল। হারাতে পারেনি। এখন হারাতে না পেরে দল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” কল্যাণীর (Krishna Kalyani) অভিযোগ, দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে অসম্মানিত করেছেন। এমনকী ইসলামপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Paramanik) অনুষ্ঠানে তাঁকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। দেবশ্রীর বিরুদ্ধে শুধু ক্ষোভ উগরে দেওয়াই নয়, বিধায়ক কার্যালয়ে দেবশ্রীর ছবিও ঢেকে দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘তন্ময়কে নাক ঘষে ঘষে দলে ফিরতে হবে’, তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক প্রসঙ্গে মন্তব্য সৌমিত্র খাঁ-র]
পালটা দেবশ্রী চৌধুরী বলেছেন্, “উনি মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন। আমাকে ওর পছন্দ না, তাই ছবি ঢেকে দিয়েছে। আসল বিরোধ জেলা সভাপতির পদ নিয়ে। কিন্তু আমার হাতে সংগঠনের দায়িত্ব নেই। ভোটের আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আর এখন আমাকে পছন্দ করছে না।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, “মানসিক রোগ কার হয়েছে আপনারাই বিচার করবেন। আমি পদ থেকে সরিনি। দেবশ্রীকে সরিয়ে দিয়েছে দল। আমি বিধায়ক হিসাবে আমার কাজ করব। আমার জন্যই রায়গঞ্জে বিজেপির (BJP) জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সেটা সহ্য হচ্ছে না দেবশ্রীর।”
[আরও পড়ুন: Corona Vaccine: টিকাকরণে নজির বাংলার, প্রত্যন্ত ঘোড়ামারা দ্বীপে প্রত্যেকের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ]
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে থেকেই উলটো সুর শোনা যাচ্ছিল কৃষ্ণ কল্যাণীর মুখে। রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, এমন জল্পনাও বাজারে টাটকা। এরই মধ্যে দেবশ্রীর বিরুদ্ধে তাঁর এই বিষোদগার দলবদলের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল। তবে, কৃষ্ণ দাবি করেছেন তিনি বিজেপি ছাড়ছেন না। তাঁর সাফ কথা, “বিজেপি আমি ছাড়ছি না। বিজেপি ছাড়লে আমি দিল্লি যেতাম না, কলকাতা যেতাম।”