গোবিন্দ রায়: রামপুরহাটে (Rampurhat violence) ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হল বিজেপি (BJP)। এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের লিগাল সেলকে মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিজেপি এখনও কোনও মামলা দায়ের করেনি।
এদিন আরও একটি জনস্বার্থ মামলা হল হাই কোর্টে। মামলাটি দায়ের করেন হাই কোর্টের আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তিনি বিচারবিভাগীয় তদন্ত পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি।
রামপুরহাটে তৃণমূল (TMC) উপপ্রধান খুনের পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। আগুন লেগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই গ্রামে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করুক হাই কোর্ট, এই আরজি নিয়ে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবার আদালতের উল্লেখ পর্বে রামপুরহাট প্রসঙ্গ সামনে এনে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপির আইনজীবীরা। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা না হলেও বিজেপিকে মামলা করার অনুমতি দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা স্বতঃপ্রণোদিত হিসেবে গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিশ্চিত করেনি আদালত।
[আরও পড়ুন: ট্যাংরার পর নিউ আলিপুর, রঙের গুদামে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক আতঙ্ক এলাকায়]
এ বিষয়ে বিজেপির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, “রামপুরহাট কাণ্ডে আদালত যাতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে, তার আরজি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আদালত এখনই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে রাজি নয়। তবে আমাদের মামলা করার অনুমতি দিয়েছে।”
সোমবার রাতের অন্ধকারে গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত গোটা গ্রাম। চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ঘটনায় আতঙ্কের চাদরে ঢাকা গ্রাম। থমথমে পরিবেশ।
রামপুরহাটের এই ঘটনায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা। একে অপরকে দায়ী করছেন নেতারা। জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, রাতভর বোমাবাজি, অশান্তি হয়নি। ওখানে একটি বাড়িতে শর্ট সার্কিট হয়েছে, তাতেই মৃত্যু হয়েছে বাড়ির লোকেদের। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, উপপ্রধান খুনের পর আদৌ ওখানে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে কেউ কিছুই জানে না। তদন্ত না হলে তা বলা সম্ভব নয়। তবে এতজনের মৃত্য়ু অত্যন্ত দুঃখজনক। এদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা যে একেবারে ভেঙে পড়েছে, এই ঘটনা ফের তার প্রমাণ।