সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের (RSS) সঙ্গে মুসলিম উগ্রপন্থী গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন পাটনার পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট মানবজিৎ সিং ধিঁলো। এবার তাঁকে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি (BJP) নেতা রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। তাঁর মতে, পিএফআইয়ের (PFI) মতো গোষ্ঠীর সঙ্গে আরএসএসের তুলনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পাশাপাশি ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী জানিয়েছেন রবিশংকর? তিনি টুইটারে লিখেছেন, ”পাটনার পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট যেভাবে পিএফআইয়ের সঙ্গে আরএসএসের তুলনা করেছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা করছি। এটা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।” সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিহার পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই অফিসারের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, রবিশংকর একাই নয়, এর আগেও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানবজিৎ সিং ধিঁলোর বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: সংসদ চত্বরে কোনওরকম ধরনা-বিক্ষোভ নয়! বাদল অধিবেশনের আগে নয়া ‘ফরমান’]
কী বলেছিলেন তিনি? তাঁর কথায়, ”পিএফআই আরএসএসের শাখার মতোই আচরণ করছে। এখানেও মগজধোলাই করে শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে তাদের মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে।”
উল্লেখ্য, আরএসএস কিংবা পিএফআই কোনওটাই নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবধারার দুই সংগঠনের মধ্যে আরএসএস যেমন হিন্দুত্ববাদী, তেমনই পিএফআই চায় ইসলামের জাগরণ ঘটাতে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে থাকার অভিযোগও উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন এক সংগঠনের সঙ্গে আরএসএসের তুলনা করায় প্রবল বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে ওই পুলিশ কর্তাকে।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্র দুই সন্তান নীতি আনলে কোনওভাবেই সমর্থন নয়’, মন্তব্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসির]
অনেকে অবশ্য এর মধ্যে বর্তমান বিহারের রাজনৈতিক অঙ্কের সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যেভাবে আরএসএসের শাখা বিস্তারের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন, তারই প্রতিফলন যেন লক্ষ করা যাচ্ছে এই পুলিশ কর্তার কথায়। রাজ্যের প্রশাসনে বিজেপি ও জেডিইউয়ের মধ্যে চাপা সংঘাতের কথা আগেও শোনা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরএসএসের বিরুদ্ধে এমন কটাক্ষের পিছনে সেই সংঘাতেরও ভূমিকা থাকতে পারে।