সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বাংলা। গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তা নিয়েই ফের মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতিকে ‘ঐতিহাসিক চুরি’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
কলকাতায় থাকলে প্রতিদিনই ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন। শুক্রবারও তার অন্যথা হল না। এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইতিমধ্যেই পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারমধ্যে তিনজন নিয়োগ কমিটির শীর্ষপদে ছিলেন। এছাড়া রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ। অর্থাৎ দুর্নীতির শিকড় যে অনেক গভীরে, তা কার্যত স্পষ্ট। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “শিক্ষাবিভাগ চোরেদের আখড়া হয়ে উঠেছে। এটা ঐতিহাসিক চুরি। কেউ ছাড় পাবেন না।” পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ৩০ টাকার লটারি কাটতেই ভাগ্যবদল, কোটি টাকা পুরস্কার জিতে ‘হিরো’ ভাতারের রাজমিস্ত্রি]
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরেই। তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিবিআইকে। জুলাই মাসের শেষদিকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। একইদিনে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। তারপরই এসএসসির (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং তৎকালীন সচিব অশোক সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। একাধিক বেআইনি নিয়োগের চিঠিতে নাকি তাঁর সই পাওয়া গিয়েছে। আজ আদালতে পেশ করা হবে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে।
নিয়োগ কমিটির শীর্ষ পদে থাকা ব্যাক্তিদের নাম একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে সরকারের। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সরকারের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরা।