রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সাংসদকে না জানিয়েই তাঁর নিরাপত্তা তুলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। রানাঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। না জানিয়ে এভাবে নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রানাঘাটের সাংসদ। এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
সাংসদকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “আমাকে কোনও কিছুই বলা হয়নি। হঠাৎ করে তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।” চারজন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী বরাদ্দ ছিল জগন্নাথ সরকারের জন্য। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের মধ্যেও জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) সঙ্গে দলের তরফে কথা বলা হচ্ছে। যাতে নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেই অনুরোধ করা হচ্ছে।” সুকান্তর দাবি, “নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কেন্দ্র এই নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সেটার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব অর্থনীতিতে, পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে LIC’র IPO আনার তারিখ]
সম্প্রতি পুরসভার নির্বাচনে সারা রাজ্যের মতো নদিয়াতেও পর্যদুস্ত হয়েছে বিজেপি। দশটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভা মিলিয়ে মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ড পেয়েছে বিজেপি। বাকি ৬টি পুরসভায় প্রাপ্ত আসন শূন্য। রানাঘাট পুরসভাতেও মাত্র ১টি আসনে জয় এসেছে। তাছাড়া, পুরসভা নির্বাচনের আগে রানাঘাট শহর ও গ্রামীণ এলাকায় জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে একাধিক পোস্টার পড়েছিল। পোস্টারে লেখা ছিল ‘জগা (জগন্নাথ সরকার) হঠাও, বিজেপি বাঁচাও’।
[আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: ইউক্রেন ইস্যুতে সরকারের পাশেই বিরোধীরা, বিদেশমন্ত্রীর প্রশংসায় শশী থারুর]
তাছাড়া, বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। যার প্রভাব পুরভোটের ফলেও পড়েছে। সেক্ষেত্রে এলাকার সাংসদ দায়িত্ব এড়াতে পারেন না বলে রাজ্য নেতাদের একাংশের বক্তব্য। এরই মধ্যে জগন্নাথ সরকারের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।