রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নানা ধরনের ইঙ্গিতবহ মন্তব্যের পর জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সদ্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অধিকারী বাড়িতেও পদ্মফুল ফোটাবেন বলে মঙ্গলবারই বারাকপুর থেকে হুঙ্কার দিয়েছেন। আর ঠিক তার পরেরদিনই শিশির অধিকারীর সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করেছেন বলেই দাবি বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোর। যদিও সে দাবি নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
বুধবার সকালে শান্তিকুঞ্জে হাজির হন হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুর জোনের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহতো (Jyotirmoy Mahato)। তিনি বলেন, “শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে চা চক্রে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়া কিছু নয়।” অধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জ্যোতির্ময়বাবু জানান, অধিকারী পরিবার যৌথ পরিবার। পরিবারের মাথা কাঁথির বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীও উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, দলীয় পদক্ষেপ নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে বিস্তর আলোচনা হয়েছে জ্যোতির্ময় মাহতোর। যদিও শিশির অধিকারীর দাবি, কারও সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর।
[আরও পড়ুন: সিসিটিভিতেই লুকিয়ে সূত্র, শালিমারে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার ৩]
শুভেন্দুর বিজেপিতে (BJP) যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কাঁথিতে তৃণমূলের সভাতে শিশির-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দেখা যায়নি। সম্প্রতি শুভেন্দু দাবি করেন, অধিকারী পরিবারেও পদ্মফুল ফোটাবেন। শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে তাঁর ভাই সৌমেন্দুকে অপসারণ করে তৃণমূল। তার ঠিক তারপরই বিজেপি সাংসদের দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। জ্যোর্তিময় মাহতোর দাবি, “তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রীরাই যোগাযোগ রাখছে।” তবে কী শিশির অধিকারীও (Sisir Adhikari) ছেলের হাত ধরেই দল পরিবর্তন করতে চলেছেন, সে প্রশ্ন ক্রমশই রাজনৈতিক মহলে আরও জোরদার হচ্ছে।