রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপি সংগঠন নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ ছিল। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে বৈঠকে সেসব কার্যত উগরে দিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। গত সপ্তাহান্তে দিল্লিতে উভয়ের একান্ত বৈঠক হয়। সেখানে লকেট সংগঠনের সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন বলে সূত্রের খবর।
দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপির সংগঠন কেমন চলছে, বৈঠকে তা নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের থেকে রিপোর্ট চান জেপি নাড্ডা। গত সপ্তাহের শেষের দিকে এই বৈঠক হয়ে বলে জানা গিয়েছে। আলোচনায় সমস্ত বিষয় উঠে এল। অনভিজ্ঞ লোকজনকে নিয়ে রাজ্য কমিটি, কীভাবে পুরনো অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে নতুনদের গুরুত্ব – এসব প্রশ্ন তুলেছেন লকেট। তাঁর আরও অভিযোগ, কথায় কথায় এবিভিপির সদস্যদের বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা দেওয়া হচ্ছে অথচ জেলা ও রাজ্যের নেতারা নিজেদের এলাকা সম্বন্ধে সচেতন নন, বিজেপি (BJP) রাজনীতিতে যুক্ত নয় – এমন লোকজনকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয় উঠে এসেছে।
[আরও পড়ুন: ৭১৫ দিন পর বড়সড় স্বস্তি দেশের কোভিড গ্রাফে, একদিনে সংক্রমিত হাজারেরও কম!]
জানা গিয়েছে, সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার কাছে লকেট আরও অভিযোগ জানিয়েছেন, পদাধিকারদের বৈঠকের খবর দেওয়া হয় না। তিন-চারজন মিলে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। নানা স্তরেই এই অভিযোগ বারবার উঠছে বলে জানান লকেট। প্রসঙ্গত, তিনি শুধু হুগলির (Hooghly) সাংসদই নয়, তিনি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও। দলের অভ্যন্তরীণ গোলমালের বিষয় প্রকাশ্যে আসতে তিনি চেষ্টা করেছিলেন, বহিষ্কার এবং পুরনো নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটা মীমাংসা করার। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের কেউ কেউ এই কারণে লকেটকে তিরষ্কার করেন। বৈঠকে লকেট নাড্ডাকে সেই অভিমানের কথা ব্যক্ত করেছেন বলেও খবর। এমনকী দু, তিনজনের নাম উঠে এসেছে। যাঁরা শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।