নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দিন কয়েক আগেই বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদদের এক প্রতিনিধিদল দিল্লি গিয়েছিলেন। সেই সফরে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করে গোটা পরিস্থিতির খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। সেই দলে থাকার কথা থাকলেও সেবার গরহাজির ছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তা নিয়ে গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার সেই সব গুঞ্জনে জল ঢেলে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন লকেট। বাংলার একাধিক বিষয় নিয়ে মোদিকে রিপোর্টও দিলেন। পরে নিজেই ফেসবুক পোস্টে তা জানিয়েছেন লকেট।
এই মুহূর্তে দিল্লিতে চলছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session)। সাংসদরা প্রায় সকলেই রয়েছেন সেখানে। এরই ফাঁকে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। দিন কয়েক আগে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে দল। তাঁকে উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনে সহ-পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে বিজেপি। যখন বিজেপি সংসদীয় দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সেসময় লকেট ব্যস্ত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কাজে। তাই তখন সংসদীয় দলে তাঁকে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার নিজেই তাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: CDS Bipin Rawat: দুর্ঘটনার আগে অনেকটা নিচ দিয়ে উড়ছিল জেনারেল রাওয়াতের কপ্টার, প্রত্যক্ষদর্শীর দাবিতে চাঞ্চল্য]
এর আগে লকেটের একাধিক কার্যকলাপ নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কখনও তিনি তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কখনও আবার ভবানীপুরের মতো হাই প্রোফাইল নির্বাচনী কেন্দ্রে দলের প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে কি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন লকেট? এই প্রশ্ন উসকে ওঠার মাঝেই তা নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছিলেন। তৃণমূলে আসতে চাইলে লকেটকে স্বাগত, এমনই বার্তা ছিল তাঁর।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন রুখতে করোনা পরীক্ষায় জোর, রাজ্যগুলিকে জীবনদায়ী ওষুধ মজুতের পরামর্শ ICMR-এর]
তবে পুজোর আগে উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়া এবং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করে লকেট বোঝালেন, দলের সঙ্গে কোনও দূরত্বই তাঁর নেই। বরং দলের নির্দেশ মেনে নানা কাজেই তিনি মনোনিবেশ করেছেন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক নালিশ করেছেন।