নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূম (Birbhum) থেকে জেলা সফর শুরু করবে বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। এদিকে দলের সংগঠন নড়বড়ে। তাই জোড়াতালি দিয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সংগঠন খাড়া করার জন্য তড়িঘড়ি নিদান দিয়ে গেলেন রাঢবঙ্গের বিজেপির পর্যবেক্ষক লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সায়ন্তন বসুর চিঠি প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সায়ন্তন বসু এমন চিঠি পাঠিয়েছে বলে আমার জানা নেই। এই চিঠির কোনও সত্যতা নেই। এটা একটা ষড়যন্ত্র। যিনি দিয়েছেন, যারা পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবেন।”
অনুব্রতহীন বীরভূম থেকেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে সফর শুরু করতে চেয়েছেন রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। কারণ সিবিআই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করার পর দলের সংগঠন তেমন বাড়েনি। তাই তারই জেলা থেকে রাজ্যে বার্তা দিতে বীরভূম সফর শুরু করবেন। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই সফর হবে। পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় জেলা পরিষদের সব আসন সঙ্গে বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। তাই বীরভূমের সেই শক্ত মাটি থেকে লড়াই করতে সংগঠনের উপর জোর দিতে চাইছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: মুসলিম সেজে কবরস্থান তৈরির নামে জমি হাতানোর অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে কাঠগড়ায় BJP]
এদিকে গত বিধানসভায় জেলাজুড়ে সাড়া জাগানোর পরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে গিয়েছে বিজেপির সংগঠন। লকেট চট্টোপাধ্যায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই সংগঠন কোনওরকমে খাড়া করার পরামর্শ দিলেন। কারন বনশলের সামনে প্রশ্নের মুখোমুখি কী কী উত্তর দিতে হবে কর্মীদের তারও প্রশিক্ষণ দিয়ে গেলেন। কিন্তু কর্মীরা জানাচ্ছেন, জেলায় এমন পরিস্থিতি যেখানে পদাধিকারীরা বৈঠকে আসতে চাইছে না।
বীরভূম সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির ৩৩টি মণ্ডল কমিটি। প্রতিটি কমিটিতে ১৬ জন পদাধিকারী। বাকি ৪৫জন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু এদিনের বৈঠকে কর্মীরা দাবি করেন ১৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগ কর্মী বৈঠকে আসতে চাইছে না। লকেট তাদের পরামর্শ দেন তাঁদের বাদ দিয়ে যারা দলের কাজে এগিয়ে আসতে চাইছে তাঁদের পদাধিকারী পদে দায়িত্ব দিন। দলে আদি-নব্য বলে কোনও ভেদাভেড রাখা যাবে না। যারা আগ্রহী তাদের সকলকেই দায়িত্ব দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘কল্পনাও করিনি’, সরকারি বাড়ি পেয়ে চোখের জল বাগ মানছে না বিহারের সবচেয়ে গরিব বিধায়কের]
বিজেপির ৭টি শাখা সংগঠনের বেশিরভাগের কমিটি সম্পূর্ণ করতে পারেনি বীরভূম জেলা। শাখা মোর্চার কোথাও জেলা কমিটি হলে, মণ্ডল কমিটি হয়নি। কোথাও সমর্থকের অভাবে ভেঙে পড়েছে সংগঠন। তবে বৈঠক শেষে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, অনুব্রত মণ্ডলের দূর্নীতির দ্রুত বিচার চান। তার দুর্নীতিকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে প্রচারে যাবেন বিজেপি