সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিবপুরের পর উত্তাল রিষড়া। বারবার এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করে বাধার মুখে পড়েছেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। বাধ্য হয়ে ট্রেনে করে রিষড়া পৌঁছলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন লকেট।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রবিবার থেকেই উত্তপ্ত রিষড়া। সেই অশান্তির আঁচ ক্রমশ বাড়তে থাকে। সোমবার বিজেপির (BJP) তরফে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোরা রিষড়া ঢুকতে গেলে পুলিশের বাধা পান। প্রতিবাদে রাস্তার উপর বসে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সোমবার রাতে আবার নতুন করে অশান্তি ছড়ায় রিষড়ায়। পুলিশের গাড়ির উপর হামলা, বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। অশান্ত হয়ে ওঠে রিষড়ার ৪ নং রেলগেট এলাকা। যার জেরে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুর ঢোকার মুখে সুকান্ত মজুমদারকে আটকায় পুলিশ। সেখানেই বসে পড়েন তিনি। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরবর্তীতে কলকাতায় ফেরেন তিনি, দ্বারস্থ হন রাজ্যপালের।
[আরও পড়ুন: ‘টিকিট না পেলে বিজেপির কথায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন না’, কর্মীদের কড়া বার্তা মমতার]
এদিকে সড়কপথে গেলে বাধা মুখে পড়তে হবে জেনে রেল পথে রিষড়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে গাড়িতে বালি স্টেশনে পৌঁছন লকেট। সেখান থেকে লোকাল ট্রেনে যান রিষড়ায়। স্টেশনে নামতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়ান লকেট। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, স্টেশন চত্বরেও নাকি জারি ১৪৪ ধারা। এতেই পালটা লকেট প্রশ্ন তোলেন, যেখানে এত মানুষের যাতায়াত, সেখানে কীভাবে ১৪৪ ধারা জারি হল। কেন তাঁরা বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে উগরে দেন ক্ষোভ। এরপর রিষড়া স্টেশনেই বসে পড়েন তিনি।