সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে গ্যাস হামলা নিয়ে ঘরে বাইরে অস্বস্তিতে বিজেপি। যার অন্যতম কারণ সংসদ হামলার চক্রীদের সংসদে ঢোকার পাস ইস্যু করেছিলেন মাইসুরুর বিজেপি (BJP) সাংসদ প্রতাপ সিমহা। সংসদে হামলার পর চারদিন পেরিয়ে গেলেও দলের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি বিজেপি। এদিকে বিরোধীরা চাপ বাড়াচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশ প্রতাপের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ করতে চলেছে।
সূত্রের খবর, সংসদে হানা কাণ্ডে বিজেপি সাংসদের বয়ান রেকর্ড করতে চায় দিল্লি পুলিশ। ওই সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে। ওম বিড়লাকে (Om Birla) চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। স্পিকার অনুমতি দিলেই ওই সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জন্মের দুবছরেই বাজিমাত! সব হুইস্কিকে দশ গোল দিয়ে বিশ্বসেরা এই দেশীয় ব্র্যান্ড]
প্রতাপ সিমহার ইস্যু করা পাস নিয়ে সংসদে ঢুকেছিল দুই হামলাকারী। লোকসভায় কার্যপ্রণালী এবং পরিচালনার নিয়ম অনুযায়ী, দর্শক গ্যালারিতে ঢোকার কার্ড ইস্যু করতে পারেন শুধুমাত্র কোনও সাংসদ। তাও যেদিন সেই ব্যক্তি দর্শক গ্যালারিতে ঢুকতে চান, তার আগের দিন সেন্ট্রালাইজড পাস ইস্যু সেল (সিপিআইসি) থেকে হলুদ রঙের ফর্ম পূরণ করতে হয়। নিয়ম বলছে, কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে দর্শক গ্যালারির পাস ইস্যু করা যায় না। শুধুমাত্র সাংসদ যাঁদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তাঁদেরই দর্শক গ্যালারির পাস দেওয়া যায়। দিল্লি পুলিশ জানতে চাইবে, সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি’রা কী প্রতাপের পূর্ব পরিচিত ছিলেন? নাহলে কীভাবে পাস দেওয়া হল তাঁদের?
[আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ‘বিরক্তিকর’, সমালোচনা প্রাক্তন বিচারপতি নরিম্যানের]
এদিকে ওই ঘটনার তদন্তে অনেকটা এগিয়েছে। ঘটনার পর রাজস্থানে গিয়ে সমস্তরকম প্রমাণ লোপাট করে এসেছিল ঘটনার মূল চক্রী ললিত ঝা। পুড়িয়ে দিয়েছিল মোবাইলও। সেই মোবাইলের ছাই উদ্ধার হয়েছে।