সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের অস্বস্তিতে ফেলে রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিচ্ছে বিজেপি (BJP)। অযোধ্যার ‘রামজ্যোতি’ বারাণসীতে পৌঁছে দিচ্ছেন দুই মুসলিম তরুণী। ঐতিহাসিক উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে মুসলিম করসেবককে! লোকসভা ভোটের আগে তেমনই আরও এক কর্মসূচি নিয়ে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) হাজির বিজেপি। ওই কর্মসূচির অধীনে যোগীরাজ্যের ৭৫ জেলার বিশেষ সভায় উপস্থিত থাকবেন মুসলিম মহিলারা, যাঁরা কোনও না কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, ওই সভাগুলিতে মুসলিম মহিলাদের মুখেই স্লোগান তোলা হবে, ‘সুক্রিয়া মোদি ভাইজান’ অর্থাৎ ‘ধন্যবাদ মোদি ভাইজান’ এবং ‘না দুরি হ্যা না খাই, মোদি হামারি ভাই হ্যায়’ অর্থাৎ ‘কোনও দূরত্ব নেই, কোনও ফাটল নেই, মোদি আমাদের ভাই’। এই প্রকল্পের দায়িত্ব রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এবং কেশব প্রসাদ মৌর্য্য। আগামী ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে নয়া কর্মসূচি। প্রতি জেলার দলীয় সভায় কমপক্ষে এক হাজার মুসলিম মহিলাকে হাজির করা হবে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
ওই মহিলারা জানাবেন, সরকারি প্রকল্পে কতখানি সুবিধা পেয়েছেন। এর ফলে কতটা বদলেছে তাঁদের জীবন। বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রেসিডেন্ট কুনওয়ার বাসিত আলি জানান, ‘উজ্জ্বলা’, ‘পিএম আবাস যোজনা’, ‘স্বচ্ছ ভারতে’র অধীন শৌচালয় নির্মাণ, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ ইত্যাদি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নয়া কর্মসূচিতে মঞ্চে হাজির করা হবে। বাসিত বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল মহিলদের জানানো যে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই যাবতীয় সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা।”
[আরও পড়ুন: রামমন্দিরে বসল ১২ ফুট লম্বা সোনার দরজা, ঝলমলে কারুকাজে মুগ্ধ হবেন ভক্তরা]
গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্য পূরণের জন্য জেলার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। যেমন, বারেলি, রামপুর, মুজ্জফ্ফরপুর, মোরাদাবাদ, আলিগড়, মিরাট ইত্যাদি। বাসিত আরও বলেন, “আমরা ওঁদের জীবনের গল্প শুনতে চাই। বোঝাতে চাই সরকার পক্ষপাতদুষ্ট নয়, সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছে।” লোকসভা ভোটের আগে, রামমন্দির উদ্বোধনের আবহাওয়ায় বিজেপির এই কৌশলের কী জবাব দেয় কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধীপক্ষ সেটাই এখন দেখার।