বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে পুলিশি ‘অত্যাচার’ নিয়ে রিপোর্ট দিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। শনিবার দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে ২৫ পাতার রিপোর্ট জমা করেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির ৫ সদস্য। যেখানে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছে না কেন্দ্র। তাই যে কোনও ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করছে তারা।
রিপোর্টে পুলিশের ‘মারে’ জথম বিজেপি কর্মীদের ছবিও রয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। নবান্ন অভিযান ছিল সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সেই অভিযান আটকাতে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালায় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এমনই দাবি জানানো হয়েছে রিপোর্টে। পাশাপাশি বাংলায় মানবাধিকার কমিশনের টিম পাঠানোর আরজিও জানানো হয়েছে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য ব্রিজলাল সাংবাদিকদের জানান, “বাংলায় যেভাবে আমাদের দলের কর্মীদের উপর পুলিশ হামলা করেছে। লাঠি দিয়ে মারধর করেছে তা একেবারেই ঠিক নয়। এই ঘটনায় আমরা মানবাধিকার কমিশনের কর্মীদের পাঠানোর আরজি জানিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: পুজোতেই দেশে শুরু ৫জি পরিষেবা, প্রধানমন্ত্রীর হাতেই সূচনা হবে টেলিকম শিল্পের নয়া অধ্যায়ের]
রাজনৈতিক মহল বলছে, নবান্ন অভিযানে মাঠ ছেড়ে পালিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তাদের আচরণে বেজায় চটেছেন কেন্দ্রী নেতারা। শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপদের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না দিল্লির নেতারা। তাই ফের একবার সিবিআই, মানবাধিকার কমিশনের টিম পাঠিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছে।
১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ডের সাক্ষী ছিল শহর কলকাতা (Kolkata)। বিজেপি কর্মীদের রুখতে পুলিশের জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে আহত হন অনেকেই। কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের মাথা ফেটে যায়।
[আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃতভাবে টেটে পাশ করানো হয়নি! মামলা করে আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী]
অভিযান নিয়ে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ পেয়ে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee) তৈরি করে দেয়। কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যবর্ধন রাঠোর, সুনীল জাখররা।