রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দলের পর এবার জখম বিজেপি (BJP) কর্মীদের বাড়িতে হাজির বাংলায় নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক এবং সহ পর্যবেক্ষক। তাঁদের চোট-আঘাত দেখে, চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন সুনীল বনশল, আশা লাকড়ারা। নবান্ন অভিযানের মাঝমাঠেই রণে ভঙ্গ দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির তিন নেতা। ফলে ধাক্কা খেয়েছিল দলীয় কর্মীদের মনোবল। এমন পরিস্থিতিতে দল যে কর্মীদের পাশেই, সে বার্তা দিয়ে তাঁদের চাঙ্গা করতে এবার মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় নেতারাই।
শনিবার জখম নেতা-কর্মীদের দেখতে দিল্লি থেকে এসেছিল অনুসন্ধানকারী দল। রবিবার আমহার্স্ট স্ট্রিট, বেলেঘাটায় জখম দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যান সুনীল বনশল এবং আশা লাকরা। সঙ্গে ছিলেন উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবে। এদিন সকালে প্রথমে আমহার্স্ট স্ট্রিটে সুবোধ দাসের বাড়িতে যান তাঁরা। সেখানে জখম কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। পরিবারের কুশল সংবাদ দেন। মেডিক্যাল রিপোর্টও দেখেন। এরপর তাঁরা চলে যান বেলেঘাটার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী রীতা রজকের বাড়িতে। তাঁর এক্স রে রিপোর্ট দেখেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চলে আসেন নবান্ন অভিযানে জখম কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: বাংলার মুসলিম ভোট কাটুক বাম-কংগ্রেস, লোকসভায় আসন বাড়াতে ব্লুপ্রিন্ট বিজেপির!]
এদিকে নবান্ন অভিযান কতটা ফলপ্রসূ হল তা বুঝে নিতে রবিবার বিকেলে দলের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবারও রয়েছে বৈঠক। সেখানে দলের জেলা, মোর্চার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নবান্ন অভিযান কতটা সফল হল, পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখাও তৈরি করা হতে পারে বলে খবর। এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ শোনা গেল রাজ্যের পর্যবেক্ষকের গলাতেও। সুনীল বনশল জানান, এনিয়ে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। অর্থাৎ নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করতে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: পুজোর পরই নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলের! রুটিন মেনে জেলায় জেলায় যাবেন রাজ্য নেতারা]
এদিকে বিজেপির এই কৌশলকে পাত্তা দিয়ে নারাজ তৃণমূল। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকদের সফরকে ‘সাইবেরিয়ার মরসুমি পাখির মরসুমি সফর’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পর্যবেক্ষক কুণাল ঘোষ। বলেন, এর আগে এরকম অনেক নেতা এসেছেন-গিয়েছেন। সাইবেরিয়ার পাখিরা আসা-যাওয়া করে। বিজেপি ত্রিপুরায় মতো গুন্ডামি করেছে। সত্যি অবস্থা জানতে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন উপ নগরপালকে দেখতে যেতে পারতেন। দিল্লির দম দেওয়া পুতুল ওঁরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না।”