সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের ভিত্তিতে কোনও ধরনের সংরক্ষণের বিরোধী বিজেপি। মঙ্গলবার গোরক্ষপুরে সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনটাই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁকে বলতে শোনা যায়, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি-সহ ইন্ডিয়া জোট নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সংরক্ষণের আওতায় আনতে চায়। এর কট্টর বিরোধিতা করে গেরুয়া শিবির।
ঠিক কী বলেছেন যোগী? তাঁর কথায়, ''ভারতীয় জনতা পার্টি ধর্মের ভিত্তিতে যে কোনও ধরনের সংরক্ষণের বিরোধী। দেশভাগের সময় ধর্মের কারণেই সাধারণ মানুষকে ভুগতে হয়েছে। তবে বিজেপি (BJP) তফসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।'' সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে তোপ দেগে যোগী বলেন, ''বাবাসাহেব ড. ভীমরাও আম্বেদকরের লেখা সংবিধানকে বরাবরই অবমূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। ১৯৫০ সালে তা লাগু হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস একে নিজের সুবিধামতো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। বাকস্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতাকে অসম্মান করে এসেছে। মানুষের আবেগকে সম্মান করতে হয়। প্রশাসন তো মানুষেরই জন্য।''
[আরও পডুন: ‘চাকরি খাচ্ছেন আপনি’, প্রাইমারি টেট মামলার শুনানিতে বিকাশরঞ্জনকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ]
প্রসঙ্গত, ভারতে মুসলমানরা (Muslim) কেমন আছেন তা জানতে নিয়োজিত হয়েছিল রাজেন্দ্র সাচার কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, ভারতীয় মুসলিমদের অবস্থা তফসিলি জাতি, উপজাতির চেয়েও খারাপ। সাচার কমিটির বৈধতাকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। পিটিশনে বলা হয়, সংবিধানের ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য আলাদাভাবে আচরণ করা যায় না। তবে এই বিতর্কের মধ্যে কর্নাটকে মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় আনে কংগ্রেস সরকার। পরে বিজেপির আমলে তা তুলে নেওয়া হলেও নতুন করে সেরাজ্যে ক্ষমতায় এসে তা চালু করে হাত শিবির। এই পরিস্থিতিতে এবার যোগীর মুখে শোনা গেল মুসলিম সংরক্ষণের বিরোধিতার কথা।