রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলের বৈঠকে মঞ্চে জায়গা পেলেন না প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহা। শ্রোতাদের আসনের পিছনের সারিতে প্রথমে বসেন তিনি। পরবর্তীতে সুনীল বনশল তাঁকে সামনের সারিতে বসালেও বৈঠক শেষের আগে বেরিয়ে যান তিনি। এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্দরের নব্য-পুরনোদের দ্বন্দ্ব।
শনিবার দুর্গাপুরে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্যান্যরা। পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে আয়োজন করা এই বৈঠকে প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহল সিনহাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই কানাঘুষো। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে মঞ্চে স্থানই পাননি রাহুল। বরং অন্য নেতাদের সঙ্গে শ্রোতাদের আসনে শেষের দিকে বসেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে সুনীল বনশল বিষয়টি লক্ষ্য করে রাহুলকে সামনের দিকে ডাকেন।
[আরও পড়ুন: আইএসএফ ও তৃণমূল সংঘর্ষ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের নতুন করে উত্তপ্ত ভাঙড়]
মঞ্চে না উঠলেও পরে সামনের সারিতে এসে বসেন রাহুল। এরপর মধ্যহ্নভোজ সেরে বৈঠক স্থল ছাড়েন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে রাহুল সিনহা। বহু নতুন মুখ এসেছে। অনেকে দলের প্রতি উষ্মাপ্রকাশ করে বেরিয়েও গিয়েছেন, তবে রাহুল সিনহা বিজেপি হয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। দুর্দিনেও দলের পাশ থেকে সরে যাননি। তা সত্ত্বেও এদিন নতুনদের ভিড়ে মঞ্চে স্থান না পাওয়ায় তিনি যে বেশ ক্ষুব্ধ তা স্পষ্টতই বোঝা গিয়েছে। কিন্তু মুখে কিছুই প্রকাশ করেননি।
এদিনের বৈঠকে নব্য-পুরনোদের দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খোলেন সুনীল বনশল। সকলকে কড়া বার্তা দেন। বলেন, “সকলকে নিয়ে আসুন। পুরনোদের ডাকুন। যিনি নিজে এখন দায়িত্বে আছেন আগামিদিনে তিনি সেই দায়িত্বে নাও থাকতে পারেন। তিনিও প্রাক্তন হবেন একদিন। কাজেই সেটা বুঝে কাজ করুন।”