রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিজেপি (BJP) কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং ত্রাণ সামগ্রী লুটপাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে খেজুরির আলিপুর বাজারের বিজেপি কার্যালয় ভাঙচুর ও বেশ কিছু ত্রিপল লুঠের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে স্থানীয় কয়েকটি চা দোকানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। সোমবার সকালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দাবি, খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডলের অলিপুরের মণ্ডল অফিস থেকে ৭৫০টি ত্রিপল লুঠপাট করা হয়েছে। এমনকী বোমাবাজিতে দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে চা দোকানেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পাওয়ামাত্রই সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পদ্মশিবিরের কর্মীরা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে পরিবহণ কর্মীদের টিকাকরণ শেষ, বুধবার থেকেই চলতে পারে সরকরি বাস]
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জারি রাজনৈতিক তরজা। শুরু অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল যেখানে মহিলাদের সম্ভ্রম লুঠ করছে সেখানে ত্রাণ লুঠ করাটাও স্বাভাবিক বিষয়। ওদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। তল্পিবাহক প্রশাসন কিছু করবে না। তাই সমস্ত মা-বোনেদের কাছে আবেদন নিজেরা এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে রুখে দিন। তাছাড়া এদের আটকানো সম্ভব নয়।” অভিযোগ খারিজ করে পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। পুর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা বলেন, “তৃণমূল সারা বছর মানুষের জন্যে কাজ করে। কোন রং না দেখে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পে আবেদন গ্রহণ হচ্ছে। তাছাড়া তৃণমূল বাড়িতে বাড়িতেও ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। তাই ত্রাণ লুঠের অভিযোগের কোন সত্যতা আছে বলে মনে হয় না। খেজুরি বিধানসভায় যেহেতু বিজেপি জয়ী হয়েছে তাই ওই এলাকাকে অশান্ত করে তোলার জন্যে এমন অনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করেছে বিজেপি।”