রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনায় কমিটি গড়ল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। অথচ সেই কমিটিতে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়দের কোনও দায়িত্বই দেওয়া হল না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। তখন দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর এবার সেই পঞ্চায়েত ভোট পরিচালন কমিটিতে বাদ সেই দিলীপই। যা নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা পদ্মশিবিরেই।
পঞ্চায়েত পরিচালন কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে দলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে (Debashree Chowdhury)। দেবশ্রীকে ইনচার্জ করা হয়েছে। কো-ইনচার্জ রয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও রাজ্য নেতা শ্যামাপদ মণ্ডল। আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক দীপক বর্মনকে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে আর এক সাধারণ সম্পাদক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কমিটিতে রাখা হল না কেন? দিলীপ ঘোষকে কমিটির শীর্ষে রাখা যেত বলে মত দলের একাংশের।
[আরও পড়ুন: উদয়পুরের দরজির মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেই নেটিজেনদের রোষানলে ইরফান পাঠান]
এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন শিবিরের যুক্তি, দিলীপবাবু সর্বভারতীয় নেতা। তাই তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়নি। এক্ষেত্রে আবার দিলীপ শিবিরের প্রশ্ন, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হলেও তিনি মেদিনীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন তাঁর সময়ে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। দিলীপবাবুর অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট রয়েছে। তাহলে কেন দিলীপবাবুর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে কমিটিতে রাখা হল না তাঁকে।
তাছাড়া, দেবশ্রী চৌধুরিও তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যও। তিনি থাকতে পারলে কেন দিলীপ ঘোষকে কমিটির মাথায় রাখা হবে না? ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কমিটি গড়া থেকেই বিজেপির কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।