নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর তাঁদের নিয়ে সমস্যা থাকলেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের এই দুই নেতাকেই রাজধানী দিল্লির মিউসিপ্যাল কর্পোরেশন (এনডিএমসি) নির্বাচনে প্রচারের কাজ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। জনসভা তো বটেই, রোড-শো করবেন দিলীপ-লকেট। বৃহস্পতিবার থেকে লকেটের প্রচার শুরু করার কথা। দু’টি জনসভা ও একটি রোড-শো করবেন এদিনই।
রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক বাঙালি ভোটারের কথা মাথায় রেখে বাংলার এই দুই সাংসদকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে চায় বিজেপি। চিত্তরঞ্জন পার্ক তো বটেই, করোলবাগ, শকরপুর, দেবনগর, অশোক নগর, ময়ূর বিহারের মতো বহু জায়গাতেই প্রচুর বাঙালি ভোটার রয়েছেন। এই সমস্ত এলাকায় জনসভা, রোড-শো করে বাংলাতেই ভোট চাইবেন দিলীপ-লকেটরা।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ করতে গেলেই আদালতে স্থগিতাদেশ, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]
বাংলার বাকি সাংসদদের মধ্যে এই দুই নেতাকেই দিল্লির পুরভোটের (Delhi Civic Polls) প্রচারে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে দিল্লি বিজেপি (BJP) এক নেতা বলেন, “দিলীপ ও লকেটের পরিচিতি রয়েছে। বাঙালিরা তাঁদের চেনে, আর বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও এঁরা সড়গড়।” বঙ্গ বিজেপির বাকি নেতাদের তাহলে কি কোনও পরিচিতি নেই? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সেই কেন্দ্রীয় নেতা হেসে এড়িয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত টানা চারদিন প্রচার করবেন লকেট।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া, খুনের পর স্ত্রীকে কেটে টুকরো করল স্বামী, দেহাংশ ফেলল জঙ্গলে]
এরপরে ১ ডিসেম্বর প্রচার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। লকেটের প্রথম দফার প্রচার শেষ হওয়ার পর দিলীপের প্রচার শুরু হবে ২৮ নভেম্বর থেকে। চলবে টানা তিনদিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বঙ্গ বিজেপি থেকে জনা কুড়ি সাংগঠনিক নেতাকে দিল্লির পুর নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা হবে বলেই ঠিক হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে কাউকেই প্রচারের ‘মুখ’ হিসাবে রাখা হয়নি। তাঁরা সাংগঠনিক কাজ করবেন আড়াল থেকেই। গুজরাটে দু’দফায় বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই ৪ ডিসেম্বর দিল্লি পুরসভার ২৫০ ওয়ার্ডে ভোট। ফলপ্রকাশ ৭ ডিসেম্বর। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও গুজরাটের (Gujarat) ভোটগণনা ও ফলপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর। নিজেদের হাতে থাকা দিল্লি পুরসভা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি।