নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলা ও বিহার (Bihar), দুই রাজ্যের কিছু অংশ নিয়ে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। সর্বভারতীয় এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই তথ্য ফাঁস হতেই তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ ও সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের হার সহ্য করতে না পেরেই বাংলা দখল করতে এই কৌশল নিতে চাইছে বিজেপি (BJP)।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ”২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই কেন্দ্র বাংলা দখল করতে দুটি নীতি গ্রহণ করেছে। (১) বাংলার আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে বিভক্ত করতে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করতে চাইছে। যার মধ্যে বিহারের পূর্ণিয়া, সহর্ষ, কিষানগঞ্জ, কাটিহার এবং বাংলার উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি অঞ্চলের একাংশ থাকবে। (২) বাংলার উপর কার্যত অঘোষিত অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি হচ্ছে একশো দিনের কাজের মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য টাকা না দিয়ে।”
[আরও পড়ুন: তাজমহলের বন্ধ ঘর খোলার আরজি সুপ্রিম কোর্টে, কী বলল শীর্ষ আদালত]
তবে সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ১৯০৫ সালে বাংলা যেমন বঙ্গভঙ্গ রোধ করেছিল, একই ভাবে এবারের চক্রান্তকেও রুখে দেবে। পাশাপাশি সুধাংশুশেখর জানিয়েছেন, ”এখনও পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২০টির বেশি নতুন রাজ্য গঠনের দাবি জমা পড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম মণিপুরে কুকিল্যান্ড, তামিলনাড়ুতে কঙ্গু নাড়ু ইত্যাদি। এই ধরনের দাবিতে কিন্তু বিজেপি নীরব রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপিশাসিত গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মণিপুর ইত্যাদি রয়েছে। বদলে বাংলা ও বিহারের কিছু অংশ নিয়ে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনে র চক্রান্ত করতে যাচ্ছে বলেই দাবি। এই ধরনের পদক্ষেপ কিন্তু ভারতের একতাকেই বিপণ্ণ করবে। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের মানুষ এই ধরনের চক্রান্তকে ব্যর্থ করবেই।”
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর দাবি, বিজেপি পরাজয় হজম করতে পারছে না বলেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে চক্রান্ত করে বঙ্গভঙ্গের কথা ভাসিয়ে দিচ্ছে।