সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনদপ্তরের আধিকারিককে 'হুমকি' দিয়ে বিতর্কে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর মন্তব্য় ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মন্ত্রীর গ্রেপ্তারি দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেবেন? জেলে পাঠাবেন? দলীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। সোশাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। কুণাল ঘোষের কথায়, "মন্ত্রী অখিল গিরির কথা এবং আচরণের বিরোধিতা করছি। এটা অবাঞ্ছিত।"
বনদপ্তরের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানে উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন কাঁথির রেঞ্জার মণীষা শ-সহ বনদপ্তরের কর্মীরা। অভিযোগ, উচ্ছেদে বাধা দেন রামনগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরি। রেঞ্জারকে হুমকি দিতেও শোনা যায় তাঁকে। তাঁদের কথোপকথন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, এই মন্ত্রীকে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেবেন? জেলে পাঠাবেন? সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও মহিলার মর্যাদাহানির অভিযোগ দায়ের হবে? দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, "এটাই তৃণমূলের প্রকৃত ভাষা ও সংস্কৃতি।"
[আরও পড়ুন: ‘না জানিয়ে জল ছাড়ছে DVC’, ৫ জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা নবান্নের]
দলীয় বিধায়কের আচরণে ক্ষুব্ধ কুণাল ঘোষ। নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। তিনি লেখেন, "মন্ত্রী অখিল গিরির কথা এবং আচরণের বিরোধিতা করছি। এটা অবাঞ্ছিত। বনদপ্তর নিয়ে কিছু বলার থাকলে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বলতে পারতেন। তার বদলে মহিলা অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার দুর্ভাগ্যজনক।" পরিশেষে তাঁর সংযোজন, "তবে সিপিএম, বিজেপির এনিয়ে বলার অধিকার নেই। ওরা এর থেকেও অনেক কুৎসিত কাজ বারবার করেছে।" যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে অযথা জলঘোলা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি।
এদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএফও সত্যজিৎ কর। দপ্তরের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেন পারেন 'ক্ষুব্ধ' বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, এমনই খবর সূত্রের।