সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিবরাত্রি, জন্মাষ্টমী, রাখিবন্ধন- কোনও উৎসবেই ছুটি নেই। কিন্তু ইদের জন্য তিনদিনের ছুটি বরাদ্দ। বিহার (Bihar) সরকারের ছুটির তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। নীতীশ কুমারের সরকারকে তোপ দেগে বিজেপি (BJP) নেতা সুশীল মোদি সাফ বলেন, হিন্দুবিরোধী আচরণ করেছে বিহার সরকার। গেরুয়া শিবিরের সাংসদ গিরিরাজ সিং বলেন, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অফ বিহার’ হয়ে উঠেছে রাজ্যটি। উল্লেখ্য, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ছুটির নয়া তালিকা প্রকাশ করেছে বিহার।
নতুন তালিকা অনুযায়ী শিবরাত্রি, জন্মাষ্টমী, রাখিবন্ধন, তিজ, জিতিয়া- কোনও উৎসবেই ছুটি পাবে না সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। এতদিন পর্যন্ত তিজ উৎসবে দুদিন এবং জিতিয়ায় একদিনের ছুটি থাকত বিহারে। যদিও রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে বলা হয়, পড়ুয়ারা যেন বছরে ২২০ দিন স্কুলে এসে পড়াশোনা করতে পারে সেই জন্যই বেশ কয়েকটি ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তবে ইদ-উল-ফিতর ও বকরিদ উপলক্ষে তিনদিন করে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বউ চোর!’, পিয়ার সঙ্গে বিয়ে হতেই পরমব্রতকে ট্রোল, বাদ পড়লেন না অনুপমও]
বিহার সরকারের এই নির্দেশিকার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেরাজ্যের বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং। এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “নীতীশ ও লালুর সরকার মুসলিমদের উৎসবে ছুটি বাড়িয়ে হিন্দু উৎসবের ছুটি বাতিল করছে। এটা আসলে ইসলামিক রিপাবলিক অফ বিহার।” বিজেপি নেতা সুশীল মোদির মতে, হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দিতেই এই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত। ইচ্ছাকৃতভাবেই হিন্দুদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে পালটা দিয়েছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “সবেবারতের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে কিন্তু সেটা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। ছুটি কেন বাতিল করা হয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা না করে শিক্ষা দপ্তরের বিবৃতির জন্য অপেক্ষা করা উচিত বিজেপির।” বিহার সরকারের শরিক আরজেডি নেতা শক্তি যাদব বলেন, কেন্দ্রের নীতি অনুযায়ী পড়ুয়াদের ২০০ দিনের বেশি স্কুলে আসতে হবে। সেই জন্যই একাধিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।