সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জের। বিজেপির মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলকে। বিজেপির তরফে জানা গিয়েছে, আপাতত প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হচ্ছে এই দুই মুখপাত্রের। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) দিনকয়েক আগে হজরত মহম্মদের বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কানপুর এলাকা। পাথর ছোঁড়া, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৮ জনকে।
নূপুরের এই মন্তব্যের কারণেই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। সেখানে বলা হয়, সব ধর্মকে সম্মানের চোখে দেখে বিজেপি। বলা হয়, “ভারতের ইতিহাসে সবসময়ে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না বিজেপি (BJP)।” নূপুরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিজেপির তরফ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বিবৃতিতে কোনও বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: এবার ভারতে হানা বিপজ্জনক জ্বরের, নাক দিয়ে অনর্গল রক্তপাত, মৃত্যু মহিলার]
বিবৃতি জারি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয়, প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলকে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, দলের মতামতের বিরোধী মনোভাব পোষণ করেছেন নূপুর। সেই কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই দলের সমস্ত কাজ থেকেও অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, নূপুরের মন্তব্যের প্রতিবাদে কানপুরের (Kanpur Violence) প্যারেড মার্কেটে বনধের ডাক দেয় স্থানীয় সংখ্যালঘু সংগঠন। কিন্তু স্থানীয় দোকানদাররা দোকানপাট বন্ধ রাখতে রাজি হয়নি। তাতেই বিবাদের সূত্রপাত। শুক্রবারের প্রার্থনা সেরেই এক গোষ্ঠীর প্রায় শ’ খানেক লোক প্যারেড মার্কেট এলাকায় আসে বাজার বন্ধ করতে। স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে বচসা শুরু হয়। ক্রমে সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। শুরু হয় দোকান ভাঙচুর। এই ঘটনায় প্রায় হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে সাসপেন্ড হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন দু’জনেই। তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন নুপুর। তিনি বলেছেন, “আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। আমার কথায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি।” অন্যদিকে টুইত করেছেন নবীন জিন্দল। তিনি বলেছেন, “ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে ও আমার পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দয়া করে এসব বন্ধ করু। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব কেউ যেন আমার বাড়ির ঠিকানা প্রকাশ না করেন।”