সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুলকিট (Toolkit) কাণ্ডে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। এবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) রায়পুর থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হল দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রকে (Sambit Patra)। ওই নোটিসে রবিবার বিকেল ৪টের সময় দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁকে। সরাসরি বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্দেশ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও জানানো হয়েছে।
কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআইয়ের তরফে সম্বিতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পরই তাঁকে এই সমন পাঠাল পুলিশ। পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংয়ের নামেও এফআইআর করা হয়েছে। এনএসইউআইয়ের সভাপতি নীরজ কুন্দন টুইটারে সকলকে জানিয়েছেন এই এফআইআরের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ‘‘এই অতিমারীর সময়েও বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য মিথ্যে ছড়িয়ে মোদির ভাবমূর্তি রক্ষা করা। দেশ ধ্বংস হলেও ওদের ভ্রুক্ষেপ নেই। ওরা কেবল ওদের ‘নকল’ ইমেজ বাঁচাতেই ব্যস্ত।’’
[আরও পড়ুন: লকডাউনে ওষুধ কিনতে যাওয়ার ‘অপরাধে’ যুবককে চড় জেলাশাসকের, দায়ের এফআইআর! ভাইরাল ভিডিও]
প্রসঙ্গত, সম্বিৎ পাত্রের দাবি, বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে অযথা দোষারোপ করতে চাইছে কংগ্রেস (Congress)। এবং এটা করা হচ্ছে একটি টুলকিটের (Toolkit) সাহায্যে। তাঁর এমন অভিযোগকে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র বিতর্ক।
ইতিমধ্যেই সম্বিতের এই টুলকিট সংক্রান্ত টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’র তকমা দিয়েছে টুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষ। সেই পদক্ষেপে নিঃসন্দেহে মুখ পুড়েছিল বিজেপির। এবার থানায় তলবের ঘটনায় অস্বস্তি আরও বাড়ল গেরুয়া শিবিরের।
ঠিক কী দাবি করেছিলেন সম্বিৎ? ওই টুলকিটের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি দাবি করেছিলেন, এই টুলকিট গোপন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে অতিমারী নিয়ন্ত্রণে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস। তিনি রীতিমতো ব্যঙ্গ করে লেখেন, ‘‘বন্ধুরা দেখুন, কংগ্রেসের টুলকিট কীভাবে অতিমারীর সময়ে অভাবীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’
তাঁর দাবি, ওই টুলকিটটিতে নাকি কংগ্রেসের লোগোও রয়েছে। টুলকিটে নাকি বলা হয়েছে, করোনার ভারতীয় স্ট্রেনকে ‘মোদি স্ট্রেন’ লেখা হোক। সেই সঙ্গে মহাকুম্ভকে ‘সুপার স্প্রেডার’ হিসেবেও বারবার উল্লেখ করার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে। এই অভিযোগ প্রথম থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এইভাবে কংগ্রেসকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি বাঁচাতে চাইছে বিজেপি।