সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোররাতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উপর উড়তে দেখা গেল রহস্যময় ড্রোন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ড্রোনটি আকাশে চক্কর কাটার পর হঠাৎই উধাও হয়ে যায়। 'নো ফ্লাইং জোন' হিসেবে ঘোষিত এই মন্দিরের উপর ড্রোন ওড়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ড্রোন রহস্যের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর ৪টে ১৫ নাগাদ মন্দির চত্বরে একটি ড্রোনকে উড়তে দেখা যায়। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, ওই অঞ্চলে ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। প্রায় আধঘণ্টা ধরে সেটি আকাশে ওড়ার পর উধাও হয়ে যায়। এই ঘটনা দেখে পুলিশকে খবর দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে পুলিশ সেখানে আসার আগেই ড্রোনটির কোনও হদিশ মেনেনি। কে বা কারা কী উদ্দেশে ড্রোনটি উড়িয়েছিল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
এদিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। তিনি বলেন, 'মন্দিরের উপর ড্রোন ওড়ানো বেআইনি এবং এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যে ব্যক্তি মন্দিরের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' মন্ত্রী আরও জানান, 'পুরীর পুলিশ সুপারকে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনে মন্দির চত্বরে ওয়াচটাওয়ার করে সর্বক্ষণের জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে।' একইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ভিডিও ব্লগাররা এই ড্রোন উড়িয়েচ্ছেন। তবে এর নেপথ্যে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য থাকার ঘটনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।"
যদিও ড্রোন সমস্যা শুধু পুরীর মন্দিরে নয়, গত বৃহস্পতিবার ড্রোনের জেরে বিপাকে পড়েন খোদ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি। ওইদিন ঝাড়সুগুডার পুরুনাবস্তি এলাকায় ঝাড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় হঠাৎ দেখা যায়, তাঁর দিকে বেসামাল ভাবে এগিয়ে আসছে একটি ড্রোন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেটি আছড়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মাঝির ঠিক পাশে। কপাল জোরে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়ালেও এই ঘটনার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।