গৌতম ব্রহ্ম: আলু চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে বিধানসভায় সরব বিজেপি (BJP)। একদিকে যেমন আলুচাষিদের ঋণ মকুব, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে তাঁরা সরব হয়েছেন। তেমনই আবার একই ইস্যুতে বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, আলুর দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করছেন অনেকে। রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। যদিও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের (TMC) দাবি, কোনও চাষি এখনও আত্মহত্যা করেননি। অনাহারে মৃত্য়ুর খবরও নেই। বরং রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা, দাবি তৃণমূলের।
সোমবার আলুর দাম নিয়ে বিধানসভায় সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, এ বছর আলুর দারুণ ফলন হয়েছে। ফলে ভাল দাম পাচ্ছেন না আলু চাষিরা। আলু চাষের জন্য স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেন চাষিরা। মার্চ মাসে সেই কিস্তি পরিশোধ করার কথা। কিন্তু আলুর দাম না পাওয়ায় সেই ঋণ পরিশোধ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে রাজ্য়ের বিরোধী দল। আর তাই আলু চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। সমবায়ের ঋণ মকুবের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। আর তা সম্ভব না হলে কিস্তি জমার মেয়াদ পরিবর্তনের দাবি করেছেন তাঁরা। শুভেন্দুর অভিযোগ, বহু চাষি উপযুক্ত দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করছেন। রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এরপর বিধানসভার ফটকের কাছে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। মাথায় আলুর ঝুড়ি নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন মনোজ টিগ্গা।
[আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে SSC গ্রুপ সি’র ৮৪২ চাকরিহারা]
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্য়ের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রাজ্যে দাম না পেয়ে কোনও চাষির আত্মহত্যার খবর নেই। অনাহারেও কারওর মৃত্যু হয়নি। বরং বিরোধীরা আলু কিনে রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশ-পাঞ্জাবে অতিরিক্ত কম দামে ‘অভাবী বিক্রি’ আলু বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করছেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার মাঠ থেকে জ্যোতি আলু সাড়ে ৮ টাকা কেজি দরে ও চন্দ্রমুখী আলু ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পরে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আগেই জানিয়েছিলেন ১০ লক্ষ মেট্রিক টন সরকার কিনে নেবে। এদিকে আলুর ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্যও স্থির করে দিয়েছে সরকার। সরকার বা বেসরকারি কেউই সাড়ে ৬ টাকার কম দামে আলু কিনতে পারবেন না।