রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করার অভিযোগে ফের সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যে কাজ নেই। তাই মুর্শিদাবাদ, মালদহের মুসলমান সম্প্রদায়ের যুবকেরা পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে ছুটে গিয়েছেন। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম সমাজের এত হিতৈষী। তিনি তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই সম্প্রদায়ের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর কেন উদ্যোগ নিচ্ছেন না? তাঁদেরকে শুধু ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। মুসলিম সমাজ এটা বুঝুক।”
শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্য সরকার রাজনীতি করছে বলেই সুর চড়ান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, “৮ মে মহারাষ্ট্র সরকারকে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছিলেন যে এই রাজ্যের শ্রমিকদের ফেরানো হোক। সেই অনুযায়ী এখন তাঁদের ফেরানো হচ্ছে। এখন আপনারা আটকাচ্ছেন?” পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিনরাজ্য থেকে ফেরার পর বাংলায় তাঁদের সঠিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। তাঁর আরও অভিযোগ, সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অবস্থাও ভাল নয়। সেখানে খাবার, জলের পরিষেবাও পরিযায়ী শ্রমিকেরা পাচ্ছেন না বলেই দাবি বিজেপি নেতার। সদ্য বাংলার মন্ত্রিসভাতেও থাবা বসিয়েছে করোনা। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ‘উদাসীন’ মনোভাবের জন্য হওয়ায় মন্ত্রীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে এদিন তোপ দাগেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু ছোট-বিক্ষিপ্ত ঘটনা’, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে নিন্দার ঝড়]
এদিকে, শুক্রবারই ত্রাণ বিলি করতে যাওয়ার পথে ক্যানিংয়ে আটকানো হয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। উল্লেখ্য তার আগে মেদিনীপুরে বাধা পান স্বয়ং দিলীপ ঘোষও। বারবার ত্রাণ বিলিতে বাধার অভিযোগ তুলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমাদের আটকে দেওয়া হলেও কর্মীরা ত্রাণ বিলি করছে। সুতরাং আমাদের আটকানোর বিষয়টা পুরোটাই রাজনীতি। ওনাদের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। আমরা গেলেই দোষ?”
[আরও পড়ুন: সাধনকে দল থেকে তাড়াতে রাস্তায় ১৫ হাজার লোক নামানোর হুমকি পরেশের]
The post ‘হিতৈষী হয়েও মুসলমান শ্রমিকদের ফেরানোর চেষ্টা করছেন না মমতা’, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের appeared first on Sangbad Pratidin.