রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির (BJP) আদি ও নব্যের দ্বন্দ্বে দিনকয়েক আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ধমান। বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উঠতে থাকে সমালোচনার ঝড়। এবার আসরে নামলেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র ঘটনায় এবার জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী-সহ ১৪ জনকে শোকজ করা হল। আগামী সাতদিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে জবাব।
সূত্রের খবর, বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর অপসারণের দাবিতে সরব বিজেপির একটি গোষ্ঠী। তাঁদের অভিযোগ, বর্ধমান সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J.P.Nadda) উদ্বোধন করা দলীয় কার্যালয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে। সেই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিজেপির পুরনো কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, নতুন কর্মীরা ওই দলীয় কার্যালয়ের ছাদ থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। বিক্ষোভকারীরাও পালটা ইট ছুঁড়তে থাকে। ভেঙে যায় পার্টি অফিসের জানলা। দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জিটি রোডে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাস্তার উপরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়িগুলি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান (Burdwan) থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেওয়া হয়। দমকল অগ্নিকাণ্ড সামাল দেয়।
[আরও পড়ুন: ‘হাজারবার জয় শ্রীরাম বলুন…’, ভিক্টোরিয়ায় স্লোগান বিতর্কে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি দলীয় কোন্দল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যা বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে। তাই বর্ধমানে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী-সহ ১৪ জনকে শোকজ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাঁদের থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার অরবিন্দ মেনন এবং বাবুল সুপ্রিয়র সামনেই বর্ধমানের পাশাপাশি বিজেপির ‘গোষ্ঠীকোন্দলে’ অশান্তি তৈরি হয় আসানসোলেও। যদি এই ঘটনায় এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি গেরুয়া শিবির।