রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021)। তার আগে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই বাকযুদ্ধে মাতোয়ারা। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে আক্রমণের ঝাঁজ। অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও দক্ষিণ সিঁথির চায়ে পে চর্চায় রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
তিনি বলেন, “সিপিএমের (CPIM) সময়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে গ্রামে সালিশি সভা বসত। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বললে দু’বস্তা চাল জরিমানা দিতে হত। এরপরেই মানুষ বুঝতে পরে সিপিএমকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে দিদিকে চেয়েছিল। সবুজকে সমর্থন করেছিল। নীল সাদাকে এনেছিল। লাইন লাগিয়ে মানুষ ভোট দিয়ে জানিয়েছিলেন দিদিকে মুখ্যমন্ত্রী চাই।”
[আরও পড়ুন: কাটা হাতে পাঁচ মেডিক্যালে ঘুরপাক কিশোরের, ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা]
উল্লেখ্য, শনিবারই এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে নদিয়ার (Nadia) পলাশি। সেই ঘটনারও তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশি উদাসীনতার অভিযোগেও সুর চড়িয়েছেন অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। তার ঠিক পরেরদিনই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আগের মতো একইভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়া সত্ত্বেও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের কথায়, “মহিলারাও দিদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। সন্ধেয় চিন্তা করতে হয়। যারা ধর্ষণ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হিম্মত নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। কাটমানি চালাচ্ছে। সিন্ডিকেট চালাচ্ছে ওই সরকার। মহিলাদের ইজ্জত কিনে নিচ্ছে টাকা দিয়ে। লজ্জা লাগা দরকার। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান করতে না পারলেও রাজ্য সরকার তার আবেগকে নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। যদিও এ বিষয়ে পালটা শাসকদল তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।