রাজা দাস, বালুরঘাট: ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরভোটের দিন ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোটাভুটি। ওইদিনই প্রার্থীদের ভাগ্য ইভিএমে বন্দি হবে। তবে হাওড়ার পুরভোটের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। তা নিয়ে সরব বিজেপি। কারণ, গেরুয়া শিবিরের দাবি, সব পুরসভার বকেয়া ভোট একসঙ্গে করতে হবে। ইতিমধ্যে এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। তবে কলকাতা পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুরবদল বিজেপির। একসঙ্গে পুরভোট না হলেও, একদিনে গণনা করার দাবিতে সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শুক্রবার বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। আগামী ২৯ নভেম্বর মামলার রায় দেবে আদালত। রায়ের পর কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আমরা ভোটের জন্য তৈরি। কমিটিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কমিটি আমাদের কাছে প্রার্থীদের নাম পাঠাবে। তারপর চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হবে। তবুও মনে করি সমস্ত পুরসভার বকেয়া ভোট একসঙ্গে হওয়া দরকার। তবে রাজ্য সরকারের পরিকাঠামোগত সমস্যায় পুরভোট একসঙ্গে না হলেও কমপক্ষে গণনা একসঙ্গে চাইছি।”
[আরও পড়ুন: ভাগ্নের বিয়েতে ২ ঝুড়ি ভরতি টাকা নিয়ে হাজির তিন মামা! গুনতে সময় লাগল পাক্কা তিন ঘণ্টা]
গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ ছিল বিজেপির মধ্যে। ভোটে বিপর্যয়ের পর সেই অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। পরাজয়ের জন্য ভুল প্রার্থী নির্বাচনকেও দায়ী করে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিল পদ্মশিবিরের একাংশ। আবার সেলিব্রিটিদের প্রার্থী করা নিয়েও প্রকাশ্যে তোপ দেগেছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। অভিযোগ উঠেছিল, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জেলা কমিটির মতামতকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, আবার দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও দলের পুরনো নেতাদের বঞ্চিত রাখা হয়েছিল।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ১৪৪টি ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম হিসাবে ৫০০টির বেশি বায়োডেটা জেলা কমিটিগুলির কাছে এখনও পর্যন্ত জমা পড়েছে বলে খবর। অন্যদিকে, হাওড়া পুরনির্বাচন পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক উমেশ রাই জানিয়েছেন, হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডের জন্য দু’শোর কিছু বেশি বায়োডাটা জমা পড়েছে। কলকাতা ও হাওড়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু বায়োডাটা ড্রপ বক্স থেকে নেওয়া হবে। সব আবেদন একত্র করে সেখান থেকে স্ক্রিনিং করবে রাজ্য নেতৃত্ব। আর এই স্ক্রিনিংয়ের পরই জেলা নেতাদের সঙ্গে একমত হয়ে তবেই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।