সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, সবুজ ঝড়ে বাংলায় বিপর্যস্ত বিজেপি। আর তার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া বলেও অভিযোগ। তাঁরা মাহেশ্বরী ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গত মঙ্গলবার। তার পর থেকেই দফায় দফায় পাওয়া গিয়েছে অশান্তির খবর। বুধ এবং বৃহস্পতিবারও অশান্তির কোনও বিরাম নেই। এদিন বর্ধমানে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজয় মিছিল যাচ্ছিল বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে। তখনই বিজেপি কার্যালয়ে থাকা লোকজন তৃণমূলের মিছিলে হামলা করে। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তেও মিলেছে একের পর এক হামলার অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের পুনর্বিবেচনা! নীতীশ কিংমেকার হতেই দাবি জেডিইউ নেতার]
কোথাও রড বা লাঠি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও মাথায় মেরে করে টিভি ভেঙে ফেলার অভিযোগও উঠেছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আক্রান্ত ৭০-৮০ জন বিজেপি কর্মী আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন শিবিরে। কলকাতারও বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক আশ্রয় নিয়েছেন মাহেশ্বরী ভবনে। রাজ্য বিজেপি সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন 'ঘরছাড়া'রা।
পালটা মারের হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "রাজ্যে ভয়ংকর পরিস্থিতি। বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না। প্রত্যুত্তর দেবে। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হবে। তৃণমূল সংযত না হলে পালটা মারব। পালটা মার হবে।" এদিন মাহেশ্বরী ভবনে যান উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ও। তিনি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রাজ্য সরকারের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। 'ঘরছাড়া'দের আইনি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।