জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: গাইঘাটার বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় থানা ঘেরাও করে দিনকয়েক আগেই বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি নিরুপম রায়ের গ্রেপ্তারির দাবি তোলা হয়। এবার একই দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার বিকেলে তিনি গাইঘাটার মানিকহীরা গ্রামে যান নিহত বিজেপি কর্মী কানন রায়ের বাড়িতে। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। আর্থিক সাহায্যও হাতে তুলে দেন। নিহতের পরিবার খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন সুকান্তের কাছে।
সুকান্ত বলেন, “এই জেলার তৃণমূলের যুব নেতা নিরুপম রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তাঁর উসকানিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরেছে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, “এই খুনের পিছনে যে মূলচক্রী সেই নিরুপম রায় ভিনরাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাকে গ্রেপ্তার করার কোনও সদিচ্ছা নেই পুলিশের। এখানকার থানার ওসি তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচারণ করছেন।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি,”নিরুপমের বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্র করার মামলা রুজু করে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আমরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে যাব।”
[আরও পড়ুন: কোচিংয়ের সঙ্গে এবার রাজ্য টেবিল টেনিসের সচিব পদে লড়তে চলেছেন পৌলমী! কিন্তু কেন? নিজেই জানালেন]
গত বুধবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মী জয়ন্ত রায়ের বৃদ্ধা মা কাননকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছিল গাইঘাটা থানার মানিকহীরা এলাকার। কাননের পুত্রবধূ পাখি বলেন,”আমাকে মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলাম। আমাকে বাঁচাতে এসেই শাশুড়িকে খুন হতে হল।” তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। মৃত্যু নিয়ে বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।” পুলিশ আগেই কাননদেবীকে খুনের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা সমীর মল্লিক-সহ তার বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরে নাম থাকা সকলকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে নিরুপম রায়ের নাম ছিল না। এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি নিরুপম রায়ের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবারের লোকজন-সহ বিজেপি কর্মীরা।