দীপঙ্কর মণ্ডল: মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও এত বছর ধরে চাকরিতে নিয়োগ হয়নি। বরং ঘুরপথে কম যোগ্যতর প্রার্থীরা শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এমনই একাধিক অভিযোগ নিয়ে আগেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা। এবার তাঁরা ধর্মতলায় (Dharmatala) গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ করছেন। শনিবার দুপুরে সেই অবস্থান মঞ্চে সরাসরি পৌঁছে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। মঞ্চে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবস্থান শুরু করেন তিনিও। রাজ্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন তিনি। তুললেন রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ।
২০১৬ সালের SSC প্যানেল থেকে চাকরিতে জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে বহুদিন ধরেই অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কখনও বিকাশ ভবনের সামনে, কখনও শিক্ষামন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি ধর্মতলার মেয়ো রোডে অবস্থানে বসেছে তাঁদের একাংশ। শনিবার সেখানে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মঞ্চে বসেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি।
[আরও পড়ুন: মেয়ো রোডে SSC চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ, মঞ্চে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার]
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে তাঁর বক্তব্য, ”এসএসসি-তে নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে বলে এঁরা সকলেই আমাকে জানাচ্ছেন। কীভাবে কী হয়েছে, সবই শুনলাম। আমার প্রশ্ন, মেধাতালিকায় ৫ নম্বরে থাকা ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে কেন ১৫ নম্বরকে চাকরি দেওয়া হল? কেন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এঁদের ন্যায্য চাকরির জন্য এতদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করতে হচ্ছে?” এরপর তিনি আরও বলেন, ”অনেকেই অভিযোগ করছেন, এই ধরনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ আছে। কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়। এঁরা সকলে ন্যায্য পাওনার দাবিতেই আন্দোলন চালাচ্ছেন। হাই কোর্টের মন্তব্যই প্রমাণ করে দেয়, এসএসসির অফিস ঘুঘুর বাসা হয়ে গিয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি, দুর্নীতি হয়েছে। এর তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত হোক শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধেও।”
[আরও পড়ুন: হাওড়ার বেসরকারি হোমে দত্তক দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকায় শিশু বিক্রি! ধৃত ৯]
২০১৯ সালে এই চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। সেসময় আন্দোলনকারীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল তৈরি করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর ওই ৫ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। বাকিরা বঞ্চিত থেকে যান। তাঁরাই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এই মুহূর্তে।