সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেঙে দেওয়া ও কালিমালিপ্ত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিকে শোধন করা ঘিরে বৃহস্পতিবার ধন্ধুমার বেধে যায় কেওড়াতলা চত্বরে। বিজেপি সমর্থকরা শামিল হয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে। তাঁদের পালটা বাধা দেন তৃণমূল সমর্থকরা। এই নিয়েই বাধে বচসা। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় কালীঘাট-রাসবিহারী চত্বরে।
[ ‘মাওবাদীরা শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভেঙেছে, সরকারকে দোষারোপ কেন?’ ]
বুধবারই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানান, মনীষীর মূর্তি অপবিত্র করা হয়েছে। তাই তা দুধ দিয়ে শোধন করা হবে। সভাপতির নিজেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি আসার আগেই একে একে করে জড়ো হচ্ছিলেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। এদিকে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয় রাসবিহারী অঞ্চলে। মোতায়েন করা প্রচুর পুলিশ। ছিলেন মহিলা পুলিশও। মূর্তি যে চত্বরে আছে তার সংলগ্ন বাগানের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাতে অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে না পড়তে পারে। এদিকে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হতেই তাঁদের বাধা দেন তৃণমূল সমর্থকরা। অভিযোগ, মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। এদিন মেয়ো রোডের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কিছু মাওবাদী মূর্তি ভেঙেছে, তার জন্য সরকারকে কেন দোষারোপ করা হচ্ছে? অনেকটা সে কথার সূত্র ধরেই বাস্তবে বিজেপি সমর্থকদের পথরোধ করেন তৃণমূল সমর্থকরা। বেধে যায় বচসা, গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। যথেচ্ছ কিল-চড় ঘুষি মারা হয়। দফায় দফায় গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। রাসবিহারী মোড়ে তাঁদের আটকে সেখান থেকেই বিজেপি নেতা ও কর্মী সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আটক করা হয় প্রায় চল্লিশজন বিজেপি কর্মীকে।
[ মূর্তি ভাঙার রাজনীতি অব্যাহত, এবার কেরলে ক্ষতিগ্রস্ত মহাত্মা গান্ধীর মুখাবয়ব ]
তৃণমূলের অভিযোগ, মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে সুপরিকল্পিত রাজনীতির ছক বিজেপির। তাই-ই রুখে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, একে একে বিজেপির লোকেদের গ্রেপ্তার করে কেস দেওয়া হচ্ছে। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র? বিজেপি-তৃণণূল সংঘর্ষে ঘোর উত্তপ্ত রাসবিহারী চত্বর।
The post শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি শোধন ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার কেওড়াতলায় appeared first on Sangbad Pratidin.