রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুরনির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির (BJP)। সবুজ ঝড়ে কার্যত উধাও গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে চিন্তন বৈঠকের ডাক। বৈঠকটি হবে আগামী ৫ মার্চ। কী কারণে এত খারাপ ফল, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
ভোটগণনার শুরু থেকেই দিকে দিকে সবুজ ঝড় বইতে শুরু করে। শাসক শিবিরে যখন উচ্ছ্বাস তখন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের মুখে হাসির রেশটুকু নেই। কারণ, দিকে দিকে কার্যত পর্যুদস্ত গেরুয়া শিবির। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের সাংসদ। অথচ ২৫ আসন বিশিষ্ট বালুরঘাট পুরসভাতে দাঁতও ফোটাতে পারেনি পদ্মশিবির। সেখানে বিরোধীশূন্য হয়ে পুরসভা জয় করেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে প্রাণ গেল আরও এক ভারতীয় পড়ুয়ার, যুদ্ধের আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু]
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানের বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সংসদীয় কেন্দ্র খড়গপুরের ছবিও তেমন সন্তোষজনক নয়। কারণ, রেলশহরেও বইছে সবুজ ঝড়। খড়গপুর পুরসভার ৩৫টি আসনের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ড দখল করেছে তৃণমূল। বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ৬টি ওয়ার্ড।
অধিকারী পরিবারের গড় কাঁথিতেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেন পদ্মশিবির। ৩৫ বছর পর কাঁথি পুরসভা অধিকারী পরিবারের হাতছাড়া হয়েছে। ২১টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট কাঁথিতে বিজেপি পেয়েছে মোটে তিনটি আসন। অর্জুন সিংয়ের ভাটপাড়ার পরিস্থিতিও তথৈবচ। ৩৫টি আসন বিশিষ্ট ভাটপাড়ায় ৩৪টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছে। সবকটিতে জয়ী শাসকদলের প্রার্থী।
পুরভোটে ভরাডুবির পরই চিন্তন বৈঠকের সিদ্ধান্ত বিজেপির। আগামী ৫ মার্চ বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতি এবং বিধায়করা যোগ দেবেন বৈঠকে। ভোটের ফলাফল কেন এত খারাপ হল, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোটের ফলাফল মানছি না। তবে আত্মবিশ্লেষণের সবসময়ই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।” এই পরিস্থিতিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের টুইট নিয়ে জোর শোরগোল। টুইটে তিনি লেখেন, Introspection। যার বাংলা অর্থ আত্মদর্শন। ভোটের ফলাফলের পর লকেটের এই টুইট যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।