নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আশানুরূপ ফল হয়নি বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Bengal Panchayat Election)। পঞ্চায়েত স্তরে যে দলের সংগঠন মজবুত নয়, সেই বিষয়টি বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটের ফল দেখেই বুঝতে পেরেছে বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে দলীয় সংগঠন মজবুত করতে এবং দলের একেবারে শেষ স্তরে সাংগঠনিক রদবদলের লক্ষ্যে এবার পঞ্চায়েত থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত বৈঠকের জন্য বাংলাকে বেছে নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল দেখেই পূর্ব ভারতের বৈঠকের জন্য বাংলাকে (West Bengal) বেছে নেওয়া হয়েছে বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের একেবারে শেষ স্তরে সাংগঠনিক রদবদলের লক্ষ্যে এবার পঞ্চায়েত থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত বৈঠক করতে চলেছে বিজেপি। এর আগে যেভাবে লোকসভা আসনগুলি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে সারা দেশে তিনটি জোন ভাগ করে বৈঠক সম্পন্ন করেছে, সেই একইভাবে ১৫ আগস্টের মধ্যে পঞ্চায়েত থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত রাজ্যভিত্তিক তিনটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ‘বিদায় মা ও বাবা…’, ঋণ শোধে চাপ চিনা সংস্থার এজেন্টদের, আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া!]
জানা গিয়েছে, পূর্ব ভারতের বৈঠকের জন্য এবার বেছে নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। বাংলা, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম – এই রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান-নিকোবরকে নিয়ে পূর্বাঞ্চলের বৈঠক হবে। বাংলার কোথায় এবং কবে বৈঠক হবে সেই দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। একইভাবে উত্তর ভারত তথা বলয়ের রাজ্যগুলিকে নিয়ে বৈঠক হবে হরিয়ানায়, এবং গুজরাত, মহারাষ্ট্র-সহ পশ্চিম ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বৈঠক গুজরাটে হবে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ৫১ শতাংশের মানুষের সমর্থন তৃণমূলে, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপিকে টক্কর বাম-কংগ্রেস জোটের]
এদিকে, বুধবার বিজেপির সদর দপ্তরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হেরে যাওয়া কেন্দ্রগুলিতে করা প্রবাস কর্মসূচির রিপোর্ট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। সূত্রের খবর, বৈঠকে চলতি বছর এবং আগামী বছরের শুরুতেই দেশের যে চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে – সেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের প্রয়োজন রয়েছে কি না এবং আগামী দিনে কোন কোন বিষয় তাঁদের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে, সেই বিষয়েও বিশদে আলোচনা করেছেন নাড্ডা।