রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ ২১ জুলাইয়ের সভা। সামনের বার জনসভা নয়, পথসভা করতে হবে। ২১ জন লোকও পাবেন না মমতা। পরিবর্তনের আঁচ পেয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ ১৯-এ হাফ হয়ে গিয়েছে ২১-এ সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল, একুশের ভারচুয়াল সমাবেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পালটা জবাব দিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
এদিন ভারচুয়াল সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘রাজ্যে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি।’ তার পালটা এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সরকার ভাঙার উদ্দেশ্য বিজেপির নেই। রাজ্য সরকার ভেঙে চাপা পড়বে তৃণমূল। এই সরকারের খুঁটির গোড়া পচে গিয়েছে।’ দিলীপের আরও কটাক্ষ, ‘৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান হয়েছে। আর ১০ বছরের তৃণমূল সরকার চুটকি বাজালে সরে যাবে। গণতন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। বাংলার কথা ভাবার জন্য বিজেপি এসে গিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি হিংসা করলে আগুন জ্বলত। গণতন্ত্রকে সন্মান করে বিজেপি। কীভাবে দুষ্কৃতীদের শান্ত করতে হয় আমরা জানি। বিহার, ইউপিতে সব শান্ত হয়ে গিয়েছে।’
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটাই ওনার শেষ ২১ জুলাই’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের]
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এখন যাঁরা রাজনীতি করছে কোনওদিন এঁদের নামই শুনিনি, কোথা থেকে এল এঁরা? তার পালটা দিলীপের মন্তব্য, ‘আমাদের জন্মদাতা পশ্চিমবঙ্গের জন্মদাতা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পার্টি বিজেপি। আর মুখ্যমন্ত্রী তো কংগ্রেসের শহিদদের হাইজ্যাক করে ড্রামা করছেন।’ আজীবন ফ্রি রেশনের ঘোষণাকেও কটাক্ষ করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘এতদিন সবাইকে রেশন দেননি কেন। বাংলার মানুষকে গরিব-ভিখারি করে রেখে দিয়েছেন। আসলে বিজেপিকে ভয় পেয়ে দোষারোপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাথা খারাপ না হলে কেউ তৃণমূলে যাবে না। বিজেপি থেকে কেউ তৃণমূলে যাবে। সেটা দিবাস্বপ্ন।’
মুখ্যমন্ত্রীকে দিলীপের কটাক্ষ, ‘এখন তৃণমূলে কেউ আসতে চাইছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান করতে হচ্ছে। উনি হতাশ বোঝা যাচ্ছে। ভয় পেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। কারণ, ভাষণের ৯৫ শতাংশই বিজেপির জন্য সমর্পিত করেছেন।’
[আরও পড়ুন: ‘ধর্মনিরপেক্ষ দল বিজেপি’, ২১ জুলাইতেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে বললেন মেহতাব হোসেন]
The post বাংলার কথা ভাবার জন্য বিজেপি এসে গিয়েছে, তৃণমূল চুটকি বাজালে সরে যাবে: দিলীপ ঘোষ appeared first on Sangbad Pratidin.