রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে নবান্ন নয়, রাইটার্স বিল্ডিংয়ে (Writers Building) সরানো হবে সচিবালয়। এমনটাই জানালেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। বর্তমানে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সংস্কারের কাজ চলছে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মমতার তৈরি নবান্নে নয়, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঐতিহাসিক রাইটার্সে ফিরবে রাজ্যে প্রশাসনের সদর দপ্তর।
শমীক মঙ্গলবার জানান,”রাইটার্স বিল্ডিংকে ঘিরে মানুষের আবেগ আছে। এই ভবনের ঐতিহ্য বহুদিনের। বিনয় বাদল দীনেশ মার্গের এই ভবন থেকেই বাংলায় শাসনব্যবস্থা ঐতিহাসিকভাবে চলে আসছে। তাই বিজেপি এলে মহাকরণেই ফিরবে সচিবালয়।” এদিনের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আসলে BJP-র এই ঘোষণার পিছনে বাঙালির মন ছোঁয়ার কৌশল আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মহাকরণের ওই লালবাড়ির প্রতি বাংলার মানুষের যে একটা আবেগ আছে, সেটাই কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ঐতিহাসিকভাবেও এই রাইটার্সের আলাদা গুরুত্ব আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত লালবাড়িটি। আর তাছাড়া গেরুয়া শিবিরের দাবি, নবান্নের ১৪ তলা থেকে মমতা (Mamata Banerjee) স্বৈরাচারী শাসন চালান। তাই সেখান থেকে রাজ্য না চালিয়ে মহাকরণ থেকেই রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশ নয়, ভোট সামলাবে শুধু আধাসেনা’, সিদ্ধান্ত কমিশনের]
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে মমতাও মহাকরণে থেকেই রাজ্য চালাতেন। ২০১৩ সালে তিনি রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর সরান নবান্নে (Nabanna)। তখন বলা হয়, রাইটার্স বিল্ডিংটি ভগ্নপ্রায়। এর অনেক মেরামতি প্রয়োজন। তাই অস্থায়ীভাবে সচিবালয় সরানো হচ্ছে নীলবাড়িতে। রাইটার্সের মেরামতির পর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী ফিরবেন বলে জানানো হয়। কিন্তু গত ৮ বছরে আর মহাকরণ-মুখো হননি মমতা। গত ৮ বছর ঝাঁপ বন্ধ থাকায় মহাকরণ এখন কার্যত ‘ভুতুড়ে বাড়ি’। এবার গেরুয়া শিবির জানিয়ে দিল, মমতার তৈরি নীল নবান্নে নয়, ক্ষমতায় এলে তারা লাল মহাকরণেই ফেরাবে রাজ্যের শাসনব্যবস্থা। সেখান থেকেই রাজ্যে সুশাসন চালু হবে।