স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চায়েত ভোট মানুষের মন পেতে তৃণমূল তথা রাজ্যের শাসকদলের একের পর এক কর্মসূচিকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। একদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক ভাতা চারগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তো অন্যদিকে তৃণমূলের কর্মসূচিই নকল করছে তার। এবার যেমন তৃণমূলের ‘চলো গ্রামে যাই’ ও ‘চাটাই বৈঠকে’র অণুকরণে উঠোন বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করল তারা।
গত ১ নভেম্বর থেকে জেলায় গ্রামে গ্রামে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে ‘চলো গ্রামে যাই’ শীর্ষক কর্মসূচি সামনে রেখে নেমে পড়েছে। বাড়ি বাড়ি তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা ৭৭টি প্রকল্পের পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছে কি না তা নিয়ে কার্যত সমীক্ষা শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: সমকামী বন্ধুদের যৌন লালসায় বাধা দেওয়াই কাল! নদিয়ায় ত্রিশূলবিদ্ধ যুবক]
অন্যদিকে গত ২০ নভেম্বর থেকে বিরোধী দলনেতার নির্বাচনী কেন্দ্র খাস নন্দীগ্রামে ‘চাটাই বৈঠক’ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই চাটাই বৈঠকে বিজেপির সন্ত্রাস ও সিপিএমের প্রাক্তন হার্মাদদের গেরুয়া জার্সি পরে এসে অত্যাচারের কথা উঠে আসছে। স্বভাবতই প্রবল চাপে পড়ে বিজেপি এখন তৃণমূলের অনুকরণে উঠোন বৈঠক শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
আর গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য,‘‘তৃণমূল কংগ্রেস সারা বছর জনসংযোগে থাকে। আমাদের দেখে ওদের উঠোন বৈঠক করতে ইচ্ছা হয়েছে। উঠোন থাকবে, লোক থাকবে না। যাদের বুথ কর্মী নেই। তারা আবার উঠোনে গিয়ে বৈঠক করবে? দিলীপ বিজেপি ডাকলে, সুকান্ত বিজেপি যাবে না, সুকান্ত বিজেপি ডাকলে আবার শুভেন্দু বিজেপি যাবে না। শুধুই শূন্য উঠোন পড়ে থাকবে, বৈঠক আর হবে না।’’
[আরও পড়ুন: এবার আন্তর্জাতিক প্রশংসা পেল দুয়ারে সরকার! রাজ্যের পরিষেবায় মুগ্ধ ইউনিসেফের প্রতিনিধি]
যদিও বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পাল্টা দাবি করে বলেছেন, “খাটিয়া বৈঠক, চাটাই বৈঠক, উঠোন বৈঠক এগুলো তো বিজেপির সংস্কৃতি। আমাদের দলের অনুকরণে তৃণমূল কর্মসূচি পালন করছে।” অবশ্য বিজেপির এই দাবি নসাৎ করে তৃণমূলের ঘোষণা, “এতদিন কেউ তো শোনেনি পদ্ম শিবির চাটাই বৈঠক করে। চাটাই তো বাংলার সংস্কৃতি। বাংলায় তো এই পদ্ম-পার্টি এলই সেদিন, তাহলে তাদের আবার এসব আসবে কোথা থেকে?” আর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সরাসরি গেরুয়া শিবিরের সংগঠনের বেহাল দশা উল্লেখ করে কটাক্ষ করে বলেন,”বিজেপির ওরা তো এমনি আসনের লোক খুঁজে পায় না। তার আবার উঠোন বৈঠক। প্রতি বুথে দুটো করে কর্মীর নাম বলতে বলুন তখন বুঝব।”