সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই লুকিয়ে চুরিয়ে চলছিল মোদি বিরোধিতা। কখনও সংবাদমাধ্যমে, কখনও ছোটখাটো জনসভায় মোদি-শাহদের মুণ্ডপাত করছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত ব্রিগেড সভায় হাজির হয়ে দলের নেতাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন বিহারীবাবু। সম্ভবত তাঁকে দল থেকে ছেটে ফেলা হচ্ছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অমিত শাহ সবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
[মমতার ‘সবাই রাজা’ তত্ত্বে সিঁদুরে মেঘের ইঙ্গিত]
কখনও নোট বাতিল, কখনও জিএসটি আবার কখনও পেট্রপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, একাধিক ইস্যুতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বারবার তোপ দেগেছেন শত্রুঘ্ন। এর আগে তাঁকে সতর্কও করেছে দল। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ দল। এর আগে একাধিকবার বহিষ্কারের কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু মুশকিল হল, এমনিতে প্রকাশ্যে দল বিরোধী কথাবার্তা বললেও দল যখনই হুইপ জারি করে তখনই সংসদে হাজির হন শত্রুঘ্ন। তাই তাঁকে বহিষ্কার করাটা কঠিন হয়ে যায়। তবে, এবার বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করেই ফেলেছেন, এবার চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হবে ‘শর্টগান’ কে। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত বিজপি সভাপতি অমিত শাহ সদ্যই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। শোনা যাচ্ছে, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খোদ শোকজ করবেন শত্রুঘ্নকে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে তাঁকে ছাটাই করা হবে বলে সূত্রের খবর।
[‘অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন’, মহাজোটের মঞ্চে মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা মমতার]
তবে, শত্রুঘ্ন মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েই ফেলেছেন। দল থেকে বের করা না হলেও আগামী নির্বাচনে যে তিনি আর টিকিট পাচ্ছেন না, তা কার্যত নিশ্চিত। বিহারীবাবু তাই ঠিক করে রেখেছেন বিজেপি টিকিট না দিলেও আগামী নির্বাচনে নিজের পাটনা সাহিব আসনটি থেকেই লড়বেন তিনি। যাতে আরজেডির টিকিট পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে তেজস্বী যাদব তথা লালু যাদবের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখছেন ‘শর্টগান’। তাছাড়া ব্রিগেডের সভায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীরও ভূয়সী প্রশংসা করেন শত্রুঘ্ন। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসে যোগ দিলে দিল্লির কোনও আসন থেকে তাঁকে টিকিট দিতে প্রস্তুত রাহুলও।
The post ব্রিগেডেই প্রশস্ত বহিষ্কারের পথ, বড়সড় শাস্তির মুখে শত্রুঘ্ন appeared first on Sangbad Pratidin.