নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলায় দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার মতো পরিস্থিতিতেই আছে বিজেপি (BJP)। এতদিন গেরুয়া শিবিরের নেতারা এই দাবি করছিলেন প্রকাশ্য সভা-সমাবেশে। এবার দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বৈঠকেও সরকারিভাবে এই দাবি পেশ করা হল প্রস্তাব আকারে। বলা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে করতে বাংলায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি ২০০টির বেশি আসন পাওয়ার মতো পরিস্থিতিতেই আছে।
সোমবারই সরকারি কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর আগে রবিবার দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। সামনেই বাংলা, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরির নির্বাচন। রবিবারের বৈঠক মূলত এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী রণকৌশল নির্ধারণের বৈঠক ছিল। পাঁচ রাজ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই আলোচনা হয়েছে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে দলের রণকৌশল কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন। তবে মুকুল রায় (Mukul Roy) এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে যে রাজনৈতিক প্রস্তাব পাশ হয়, তারও সিংহভাগ জুড়ে ছিল বাংলা। এই প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। মমতার তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে। বিজেপির পক্ষে রাজ্যে জনসমর্থন বাড়ছে। বাংলার ভোটে ২০০ আসন পাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে দল রয়েছে।
[আরও পড়ুন: এই প্রথম নাগাল্যান্ড বিধানসভায় বাজল জাতীয় সংগীত, ভাইরাল ঐতিহাসিক মুহূর্তের ভিডিও]
প্রধানমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও বাংলা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। তিনি এদিনের বৈঠকে বিজেপি কর্মীদের দেশের প্রতি গুরুদায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন, দেশই আগে। দেশকে প্রাধান্য দিয়েই দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দলের বিস্তারও করতে হবে দেশকে প্রাধান্য দিয়েই। এদিনের বৈঠকে করোনাকালে ভাল কাছের জন্য বিজেপির তরফে মোদির প্রশংসাও করা হয়। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের পাশ করানো কৃষি আইনেরও ভূয়সী প্রশংসা করে বিজেপি। এদিন প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, কৃষি আইনের সাফল্যের কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে।