রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayet Vote)! দলের সংগঠনের ভিত নড়বড়ে তাই ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে সরব বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রের কাছেও এই দাবি জানাবে শুভেন্দু-সুকান্তরা। দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া রাজ্য বিজেপির প্রদেশ কার্যকারিণী বৈঠকে লিখিত প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের একবার সিএএর ধুয়ো তুলতে চাইছে তারা।
রাজ্য বিজেপির দু’দিনের প্রদেশ কার্যকারিণী বৈঠকের শেষ দিন শনিবার। এদিন বঙ্গ বিজেপির (BJP) লিখিত প্রস্তাবে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। একদিকে যেমন আবাস যোজনা, শিক্ষা দুর্নীতি, ভুয়ো রেশন কার্ড ইস্যুতে সরব হবে তারা। তেমনই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো দাবিও জানাবে বঙ্গ বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গও টেনে আনা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বঙ্গ বিজেপির দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক পঞ্চায়েত ভোট।
[আরও পড়ুন: ‘মমতার মতো লড়াই কোথায়!’, বিজেপির কর্মসমিতি বৈঠকে মুখর শুভেন্দু]
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০ মাসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যে লাভ জেহাদের মত ঘটনা, শিশুরা আক্রান্ত, বোমা উদ্ধার, নারী নির্যাতন, মুসলিম মহিলাকে পুড়িয়ে মারার মত ঘটনা ঘটছে। সরকারি কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রকে নিশানা করা থেকে প্রমাণ হয় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের পুলিশের ওপরেই আস্থা নেই।” বিজেপির এহেন দাবি দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, রাজ্যে সংগঠন গড়তে ব্যর্থ বিজেপি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বঙ্গ বিজেপি। তাই ব্যর্থতা ঢাকতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর জিগির তোলা হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে ফের সিএএ কার্যকর করার দাবি তোলা হয়েছে। বিজেপির দাবি, ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি তাঁদের কোনও বিদ্বেষ নেই। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম ও রোহিঙ্গারা রাজ্যে নাশকতামূলক কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির তরফে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ, আইএস জেহাদি গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গেও টেনে আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আইএসএফ ও তৃণমূল সংঘর্ষ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের নতুন করে উত্তপ্ত ভাঙড়]
এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যের জনসংখ্যার চরিত্রগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপো। রোহিঙ্গাকে রাজ্য এনে বসানো হচ্ছে। ভারতীয় মুসলিম বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও বক্তব্য নয়। কিন্তু যেভাবে রাজ্যের ৯টি জেলার জনসংখ্যার চরিত্রগত পরিবর্তন করা হয়েছে তা আটকাতে প্রয়োজনে আমাদের অসমের মত সাংবিধানিক পথে এগোতে হবে।” রাজনৈতিক মহল বলছে, বাংলার মুসলিম ভোটব্যাংককে ভাঙতে নয়া কৌশল নিচ্ছে বিজেপি।