সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বিষ্ণুপুরে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী। রাজনৈতিক শত্রুতা নাকি পুরনো ব্যক্তিগত অশান্তির জেরে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরও তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার খুনের কিনারা করতে ধৃতদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ঘটনায় ভাস্কর মাল নামে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আন্ধারমানিক এলাকার বিজেপির আহ্বায়ক। রাজনৈতিক রেষারেষির জেরে খুন নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা জানতে তদন্ত চলছে জোরকদমে। সূত্রের খবর, বছর পাঁচেক আগে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় সাধন মণ্ডলের নাম জড়িয়েছিল। গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। সেই খুনের ঘটনার বদলা নিতে এরকম কিছু ঘটানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অপারেশন থিয়েটারেই চিকিৎসকদের হাতাহাতি! বেনজির বিশৃঙ্খলা আর জি কর হাসপাতালে]
প্রসঙ্গত, আন্ধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন সাধন মণ্ডল। রবিবার সন্ধেয় বিষ্ণুপুর ও সোনারপুর থানা এলাকার সীমানা লাগোয়া বিষ্ণুপুর থানার দুর্গাবাটি মোড়ে চায়ের দোকানে বসেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে আসে। একজন দোকানের মধ্যে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখায়। দোকানের মধ্যে থাকা ক্রেতারা আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তারপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা সাধন মণ্ডলকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে। আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রবিবার বিকেলের পর থেকে তিনি কোথায়, কখন যাচ্ছিলেন সেদিকে তীক্ষ্ম নজর ছিল কুচক্রীদের। নজর রেখেছিল মোট তিনজন। তাদের ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। জেরায় সে একথা স্বীকার করেছে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাহলে কি সাধনকে খুনে সুপারি দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী ভাস্কর, উঠছে প্রশ্ন।