সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আদি ও নব্য বিজেপির কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান (Purba Bardhaman) শহর। মঙ্গলবার দুপুরে দিলীপ ঘোষের সামনেই বিক্ষোভে শামিল হলেন কর্মীরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন যারা দলের জন্য প্রাণ দিয়ে কাজ করেছেন, তাদেরই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
ভোটের আগে থেকেই বারবার বিজেপির অন্তর্কলহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পূর্ব বর্ধমান। মঙ্গলবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এদিন বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি সাংবাদিক বৈঠক শুরু করতেই কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। এরপর কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকেও অশান্তি করে তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর ফলে বক্তব্য থামিয়ে দিতে বাধ্য হন দিলীপ ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের কথায়, “দিনের পর দিন যাদের বাড়িতে খেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তাঁদের আজ তিনি চিনতে পারছেন না। পুরনো দিনের কর্মীদের বদলে দলে এখন সুযোগ সন্ধানীদের কদর বেশি।” বেশ কিছুক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলার বেঞ্চ বদল, হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে হবে শুনানি]
উল্লেখ্য, এদিন বর্ধমান থেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যকে তুলোধোনা করেছেন দিলীপ। তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপি খুনোখুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। আমাদের ৫-৬ বছরে ১৭৫ জন কর্মী খুন হয়েছেন। আমরাই হিংসার শিকার। গুণ্ডাদের সামলালে বাংলায় হিংসা কমে যাবে।” দেবাঞ্জন কাণ্ড নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।