সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’র শুরুতেই বিপত্তি। পুলিশ বাধা দিতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বিরাটিতে (Birati)। বহু বিজেপি কর্মীর পাশপাশি আটক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে। মূরলীধর সেন স্ট্রিটেও ছড়িয়েছে উত্তেজনা।
বিজেপির তরফে মৃত কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’র আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার। বিজেপির সদর দপ্তর থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেন সুভাষ সরকার। এই কর্মসূচিতে শামিল মোট ৪ মন্ত্রী। তাঁরা হলেন সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar), নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik), জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর। কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে বিরাটির গৌরীপুরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ বহু বিজেপির কর্মী-সমর্থক। প্রথমে গৌরীপুর কালীবাড়িতে পুজো দেন শান্তনু ঠাকুর। সেখান থেকে কর্মসূচি শুরু কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: LPG Price Hike: কলকাতায় ফের অনেকটা বাড়ল ভরতুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম]
ঘটনাস্থল থেকে একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই গ্রেপ্তারি বরণ করেন শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ। তাঁদের এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। শান্তনু ঠাকুর বলেন, “পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপির সমস্ত কর্মসূচিতে অকারণে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে বলে তোপ জয়প্রকাশের। উল্লেখ্য, এদিন সকালেই ‘যুব সংকল্প যাত্রা’কে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় শিলিগুড়ির হাসমি চকে। করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। সাফ জানানো হয়, এই মুহূর্তে কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। প্রতিবাদে সুর চড়ান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জডিয়ে পড়েন তাঁরা। এর জেরেই ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কয়েকজন কর্মীকে আটক করে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার বরণ করেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ।