সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় নেতার অনুষ্ঠান চলাকালীন হলের বাইরে মারামারিতে জড়াল বিজেপি (BJP)। শনিবার সন্ধেবেলা হো চি মিন সরণিতে আইসিসিআরের (ICCR) সামনে ছড়াল তুমুল অশান্তি। এক ব্যক্তির উপর আক্রমণ, মারামারি চলল বেশ কিছুক্ষণ। ওই ব্যক্তি কে, তার উপর কেন বিজেপি কর্মীদের এত ক্ষোভ – তা অস্পষ্ট। তবে বিজেপি কর্মীদের মুখে শোনা গেল টাকা চুরির অভিযোগ। কয়েকজন কর্মী বলতে থাকেন, ”ও আমাদের টাকা চুরি করেছে।” শোনা যায় ‘তৃণমূলের দালাল’, ‘গরুচোর’ স্লোগানও। তবে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বিষয়টি দেখেশুনে জানান, ওই ব্যক্তি দলের কেউ নন, তিনি দরকারি কাজে এসেছিলেন আইসিসিআরের সামনে। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের একটি অনুষ্ঠান চলছিল আইসিসিআরে। তার বাইরেই এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
Modi@20 – শীর্ষক কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এসেছেন কলকাতায়। বঙ্গ বিজেপির তরফে তাঁকে অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আইসিসিআরে। সেখানে শনিবার সন্ধেবেলা সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছিল। ছিলেন মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য-সহ বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় দুর্গাঠাকুরের এক আবক্ষ মূর্তি।
[আরও পড়ুন: বারাসতে সামান্য বচসা মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, মহিলা কর্মীর মাথায় বটির কোপ তরুণীর!]
এই অনুষ্ঠান চলাকালীনই আচমকা তাল কাটল। প্রেক্ষাগৃহের বাইরে আচমকাই হইহই ব্যাপার। হলুদ জামা পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে তুমুল উত্তেজনা। কয়েকজন বিজেপি কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। কারও অভিযোগ, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি নাকি হলের ভিতরে ঢুকতে চাইছিলেন। শমীক ভট্টাচার্যর নাম ব্যবহার করছিলেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, তাঁদের টাকা চুরি করেছেন ওই ব্যক্তি। ‘তৃণমূলের দালাল’ বলেও ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করা হয়। তবে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও চেষ্টা করেননি। বরং স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন ওই ঘটনায়। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সব্যসাচী রায়চৌধুরী। তাঁর উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়া ব্যক্তির নাম অভিজিৎ নাহা, তিনি যুব মোর্চার সদস্য।
[আরও পড়ুন: বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া ‘ভয়ংকর ভুল’, প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইলেন ১৩০ আমলা]
খবর পৌঁছয় হলের ভিতর থাকা শমীক ভট্টাচার্যের কানে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তারপরই সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, সব্যসাচীবাবু দলের কেউ নন। তিনি ওকালতনামায় সই করাতে এসেছিলেন। তাই শমীকবাবুর নাম উল্লেখ করেছেন।